মানুষ হয়ে জন্ম নিলেই মানুষ কখনও মানুষ হয় না। সত্যিকার মানুষ হওয়ার জন্য মানুষকে অর্জন করতে হয় মনুষ্যত্ব। মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য যে ব্রত মানুষকে অবশ্যই পালন করতে হয়, তার মধ্যে জনসেবা বা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো অন্যতম।
আত্মস্বার্থমগ্নতা, মানুষের চরিত্রের এক ভয়ানক খারাপ গুণ। যেহেতু মানুষ সমাজবদ্ধ জীব, সে কারণেই প্রতিটি মানুষ একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা থেকেই মানুষ বরাবরই একে অন্যের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছে। আর এই চেষ্টাই বৃহৎ পরিসরে জনসেবা হিসেবে রূপ নেয়। মানব ইতিহাসে মনুষ্যত্বের পতাকা স্থাপনের দৃষ্টান্ত মহামানবরা জনসেবার মাধ্যমেই রেখেছেন। জনসেবা সমাজজীবনে আনে স্থীতিশীলতা, আর ব্যক্তিজীবনে আনে অনাবিল শান্তি।জনসেবা এমনই এক ব্রত যা পৃথিবীতে একের সাথে অন্যের বন্ধন সৃষ্টি করে। সুখ-দুঃখ, অভাব-অনটন, মৃত্যু, শোক, হতাশা সবকিছুর সংমিশ্রণেই মানুষের জীবন। আর এ সকল সমস্যা থেকে মানুষই মানুষকে উদ্ধার করতে পারে। আর উদ্ধারের একমাত্র পথ হলো সাহায্য সহযোগিতা।
সাহায্য সহযোগিতা সমাজে সৃষ্টি করে ভ্রাতৃত্ববোধ। এটি সামাজিক স্থিতিশীলতা আনায়নে ভূমিকা পালন করে। সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই মানুষ একে অন্যের পাশে দাঁড়ায় এই সাহায্য সহযোগিতাকে কেন্দ্র করেই। যে মানুষ অন্য মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে পারে, তার জীবনই সার্থক ও সফল হয়। বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ মোঃ মামুন মিয়া বলেন – মানুষের জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে। নিজের, দুঃখ দূর করার অন্যতম উপায় হলো অন্যের দুঃখ দূর করার চেষ্টা করা। কারণ কেউ পৃথিবীতে একা একা সুখী হতে পারে না। সমাজে প্রত্যেকের সত্যিকার সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি তখনই আসে যখন সেই সমাজে জনসেবার সঠিক চর্চা হয়। সাহায্য সহযোগিতা একটি সুখী, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের অন্যতম হাতিয়ার। সুতরাং আমাদের প্রত্যেকেরই নিজেদের জীবনে এই গুণের বিকাশ ঘটানো উচিত।
Leave a Reply