অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচার আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, পাপুলের স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম। গত ১১ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকা লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত লন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ মাত্র ২৩ বছর বয়সী জেসমিনের নিজের কোনো আয়ের উৎস নেই।
অন্যদিকে এফডিআর হিসাবের দুই কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোনো উৎস জেসমিন দাখিল করতে পারেননি। যে কারণে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভােগদখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অভিযােগ এবং প্রায় ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরােধ আইনের ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
Leave a Reply