শেরপুরের নালিতাবাড়িতে মাদকাসক্ত এক প্রতিবেশীর দায়ের কোপে দিতি (১৮) নামে এক নববধূ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর পুলিশের কাছে ধরা দিলেন ঘাতক নিজেই। বুধবার (২৯ জুন) দিবাগত রাতে পৌর শহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। রহুল আমিন ওই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘাতক রহুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। তারই প্রতিবেশী মুছা মিয়ার মেয়ে দিতির গত বৃহস্পতিবার উপজেলার চেল্লাখালী সন্যাসীভিটা এলাকায় খাইরুল নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর দিতিকে বাবার বাড়ি কালিনগর রেখে স্বামী খাইরুল পেশাগত কাজে ঢাকায় ফিরে আসেন।
বুধবার (২৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘাতক রহুল আমিন তার ভাবি রাহেলাকে নিয়ে দিতিদের বাড়িতে যায় এবং রাহেলা দিতিকে দরজা খুলতে বলেন। পরে দিতি দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে মাদকাসক্ত রহুল আমিন বটি-দা দিয়ে তার মাথায় কোপ দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় কৌশলে রহুল আমিন পালিয়ে যায়।
পরে স্বজনরা আহতাবস্থায় দিতিকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নকলা এলাকায় দিতির মৃত্যু হয়।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘাতক রহুল আমিনের ভাবি রাহেলাকে আটক করে রহুলকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রহুল আমিন নিজেই পুলিশের কাছে এসে হত্যার কথা স্বীকার করে ধরা দেন। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার নালিতাবাড়ী সার্কেল আফরোজা নাজনীন।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল। তিনি বলেন, এখনও হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
Leave a Reply