প্রধান বিচারপতি নাকে খত দিয়ে বিদায় হন। তা না হলে কাপড় পরারও সময় পাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জেনারেল এমএজি ওসমানীর ১০৩ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জেনারেল এমএজি ওসমানী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন। ভাসানী অনুসারী পরিষদ আলোচনা সভাটির আয়োজন করে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিচারপতিদের অভিনন্দন জানাই, তারা পরীমনিকে আগে মুক্তি দিয়েছেন। সুন্দরী মহিলা বলে নয় বিভিন্ন কারণে মুক্তি দিয়েছেন। কয়েকজন ছাত্র এখনো মুক্তি পায়নি। আমি-সাকি (জোনায়েদ সাকি) ছাত্রদের সাথে দেখা করার চেষ্টা করেছিলাম। তখন তিনি বলেন, (প্রধান বিচারপতি) আমরা নাকি বিচারে হস্তক্ষেপ করতে পারি না। এখন পরিমনির কিভাবে মুক্তি পেল। সুন্দরী মহিলা বলে? ছাত্রগুলোকে ও খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়ে দেন। খালেদা জিয়া কয় টাকা চুরি করছেন?
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা শুধুমাত্র প্রেসক্লাবে মধ্যে থাইকেন না। পথে আসেন। পথে আসলে আমরাও আপনাদের সাথে থাকবো। আপনাদের সাথে নিয়েই দেশে গণতন্ত্র আনবো। কিন্তু আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র নয়। জিয়াউর রহমানকে গালি দিলে আপনারা কষ্ট পান। কিন্তু আপনারা তো জিয়াউর রহমানের কথা শুনেন না। বিএনপির গঠনতন্ত্র আপনারা আরেকবার পড়েন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশ আগামী নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরুরে নির্বাচন সংক্রান্ত গণতন্ত্রের বিষয়টা আবার সামনে চলে আসবে। বিএনপি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল, বড় রাজনৈতিক দল, কাজেই বিএনপিকে এখন জিয়াউর রহমানের কবরে ডুকিয়ে দিতে হবে। জিয়াউর রহমান গুলি ছুড়েছিলেন কিনা, এইটাই এখন বিএনপির বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। এই রকম একটা জটিল পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আছি।
বিএনপির উদ্দেশ্য বলেন, জিয়াউর রহমানের কবরে বা উনি গুলি ছুড়েছেন কিনা এই তর্কের মধ্যে প্রবেশ করবেন না। আপনারা সামনের দিকে তাকান। সামনের নির্বাচনে যাতে কেউ ভোট চুরি করতে না পারে তার প্রস্তুতি নেন। সরকারে ষড়যন্ত্রে পা দিয়েন না।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেন, একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন জিয়াউর রহমান। তাকে (জিয়াউর রহমানকে) বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা বলছে, জিয়াউর রহমান নাকি মুক্তিযুদ্ধই করেনি। আবার একদল বঙ্গবন্ধুকে খাটো করে কথা বলছে। এটা কোন ধরনের রাজনীতি। দেশে অসুস্থ রাজনীতি চলছে। তরুণ প্রজন্ম ও সচেতন নাগরিকদের বলবো অর্বাচীন ও রাজনীতির দুর্বৃত্তদের ছুড়ে ফেলে ৭১ সালের প্রকৃতি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এদেশে নতুন ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিজুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লায়লা পারভীন বানু, মুক্তিযোদ্ধা ডা. নাজিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন ফোরকান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
Leave a Reply