প্রবাসীরা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে রয়েছে , আপনজনের চাহিদা এবং দেশের রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে বিরাট ভুমিকা রাখলেও তারা আজ অবহেলিত,
“রেমিটেন্স যোদ্ধা” এবং অনেক বাহবা দিয়ে ধন্য করেন, অথচ নানান দুঃখ-কষ্টে তাদের জীবন কাটে, সরকার প্রবাসীদের “মরণোত্তর” সকল সুযোগ-সুবিধা দিবে। অর্থাৎ মরার পরে- ৩ লক্ষ টাকা দিবে, বেঁচে থাকলে ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট দিবে, জাতীয় পরিচয় পত্র দিবে , প্রবাসী কার্ড দিবে, শর্তবিহীন সহজ কিস্তিতে লোন দিবে, মেডিক্যাল/ চিকিৎসা ফ্রি করে দিবে, ইত্যাদি ।
অথচ প্রবাসে মরার পর মৃতদেহ আর বিনা খরচে জনগনের মালিকানা বাংলাদেশ বিমান বহন করবেনা, বলে বাংলাদেশ বিমান সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে । আমরা প্রবাসীরা তাহলে বাংলাদেশ বিমান বয়কট করা কি অন্যায় হবে? প্রবাসীদের টাকায় নাকি দেশের চাকা ঘুরে, ব্যাংকে টাকা রাখার জায়গা নাই, অথচ লুটপাট করে বিদেশে পাচার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
প্রবাসীরা দুতাবাসে কাঙ্খিত সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে, তবে কুয়েতস্হ বাংলাদেশ দুতাবাস আগের চেয়ে অনেকাংশে ভালো সার্ভিস, এবং দুর্ণীতিমুক্ত বলা চলে।
নব-নিযুক্ত রাষ্ট্রদুত দুর্নীতি মুক্ত দুতালয় গঠনে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, যদিও
শর্ষে ভুত থাকলে ভুত তাড়ানো কষ্টকর হয়, আশা করি দুতাবাসে কর্মকর্তা যারা রয়েছেন,আপনারা প্রবাসীদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে চেষ্টা করবেন, অসাধু চক্রের কারণে নব্য পাপুল তৈরী হতে চলছে, এখন থেকেই বিষয়টি নজরদারীতে রাখা এবং শতর্কমুলক ব্যবস্হা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি..
কুয়েতস্হ বাংলাদেশ দুতাবাস হোক প্রবাসীদের সকল সমস্যা সমাধানের আশ্রয়স্হল।
Leave a Reply