ভূরুঙ্গামারীতে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক স্কুলছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় ব্যর্থ হয়ে চাকু দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার (০৬ জুন) বিকেলে উপজেলার শিলখুড়ী ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত স্কুলছাত্রী শিলখুড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার স্কুল ব্যাগ, শরীরের বিভিন্ন অংশে ও দুই হাতে চাকু দিয়ে গুরুতর ক্ষত করা হয়েছে। আহত ওই স্কুল ছাত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার পশ্চিম ছাট গোপালপুড় এলাকার জহির উদ্দিন এর ছেলে কাজল (২১) ও উত্তর ছাট গোপালপুড় এলাকার মনজু মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা। ছাত্রীর দাদি রহিমা বেগম বলেন, তার নাতনি বিদ্যালয় ছুটির পর সে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। ধলডাঙ্গা বাজারের উত্তর পার্শে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ইব্রাহিম মাস্টারের বাড়ির কাছে পৌঁছালে মাসুদ ও কাজল তাকে পথে আটকিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সে রাজি না হওয়ায় জোর করে কাজল ওই ছাত্রীকে জাপটে ধরেলে সে চিৎকার করার চেস্টা করলে মুখ চেপে ধরে। আবারও প্রেমের প্রস্তাব দিলে রাজি না হলে মাসুদ রানা পকেটে থাকা চাকু দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ দেয়। মেয়েটি হাত দিয়ে বাধা দিলে তার হাত, পরনে থাকা জামা ও স্কুল ব্যাগ কেটে যায়। মেয়েটি রক্তাক্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পরে গেলে তারা দুজন পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে আহত স্কুলছাত্রীর পরিবার, শিক্ষকগন ও এলাকাবাসী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে শিলখুড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ড্রেস পরা এক ছাত্রীকে ছুরি দিয়ে রক্তাক্ত করে দুই যুবককে মটরসাইকেল দিয়ে পালিয়ে যেতে দেখেছে তারা। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, মুঠোফোনে সংবাদ পেয়েই ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে ওইদিন গত রাতে মেয়েটির দাদী বাদি হয়ে একটি মামলা করেছে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply