নীলফামারীর ডোমারে প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৩) অপহরণের পর ২০ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে মেয়েটির বাবা ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের জালিয়াপাড়ার ছস্তিস দাসের ছেলে শ্রী লাল মোহন দাস লিটন (২৫) মেয়েটিকে প্রেম নিবেদন করে আসছিল। মেয়েটি প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে লিটন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
গত ১৬ ডিসেম্বর সকালে মেয়েটি মাদ্রাসার উদ্দেশে রওনা হয়ে আর বাড়িতে ফিরে না এলে তার বাবা ডোমার থানায় একটি জিডি করেন।
পুলিশ জিডির সূত্র ধরে বুধবার লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানার বাউরা বাজার থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
এ সময় মেয়েটি পরিবারকে জানায়, গত ১৬ ডিসেম্বর সকালে মেয়েটি দেবীগঞ্জ মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপহরণ করে। এ সময় তার সঙ্গে একই এলাকার কানা বাদশার ছেলে রেজাউল (৩৫) ও আনারুলের ছেলে রাকিব (২০) তাকে অপহরণে সহযোগিতা করে।
অপহরণ করে মাইক্রোবাসে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানার বাউরাবাজার নামক স্থানের অজ্ঞাত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে লিটন জোরপূবর্ক একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে ডোমার থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নির্যাতনের শিকার মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লিটনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Leave a Reply