নোয়াখালীতে শাহানা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় তার হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে প্রেমিক ইয়াছিন আরাফাত। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইয়াছিন ও তার সহযোগী মো. রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ইয়াছিন আরাফাত বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে এবং রাসেল একই এলাকার চৌকিদার বাড়ির মো. আব্দুল মালেকের ছেলে। নিহত শাহানা চাঁদপুরের পুরান বাজার এলাকার শাহ আলমের মেয়ে।
গ্রেপ্তার নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়।
সুধারম থানার ওসি নবীর হোসেন বলেন, মুঠোফোনে শাহানার সঙ্গে ইয়াছিনের প্রেম হয়। সম্পর্কের জেরে এর আগে কয়েকবার প্রেমিকের উদ্দেশ্যে চাঁদপুর থেকে শাহানা নোয়াখালীতে আসেন। সবশেষ ২৯ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী আসেন তিনি। ওই দিন ইয়াছিনকে বিয়ের জন্য চাপ দেন শাহানা। এ নিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সহযোগী রাসেলকে নিয়ে শাহানাকে নোয়ান্ন ইউপির খন্দকার স’মিলের পেছনে একটি তিনতলা পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে যায় ইয়াছিন। পরে শাহানার হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ বস্তায় ভরে একই ইউপির করমুল্যাহপুর গ্রামের একটি ডোবায় ফেলে দেয় তারা।
সোমবার সকালে নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্ন ইউপির করমুল্যাহপুর গ্রামের একটি ডোবা থেকে শাহানার বস্তাবন্দি গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
Leave a Reply