ফিল্মি স্টাইলে এক গৃহবধূকে অপহরণের পর ৫ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদের ভাগনে শরিফুল ইসলাম ওরফে গুড্ডু ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে বন্দর থানা পুলিশ কুড়িপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আসামি শরীফুল ইসলাম গুড্ডুকে (৪০) গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত শরিফুল ইসলাম গুড্ডু বন্দর উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকার আলতাফ ওরফে আলতু মিয়ার ছেলে। তার মামা মাকসুদ চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির নেতা। এ ঘটনায় গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত ধর্ষক গুড্ডুসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন বন্দরের কুড়িপাড়া নয়ামাটি এলাকার রুহুল আমিনের ভাড়াটিয়া ও মৃত তোতা মিয়ার ছেলে সোহরাব ওরফে পাগলা শুভ (৩৭) এবং একই এলাকার ছালাম মাস্টারের ছেলে ফিরোজ মিয়া(৩৬)।
ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ জানান, তিনি গত ২৫ মে সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে বন্দরের মদনপুর এলাকার বারাকা হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। হাসপাতালের গেইটের সামনে যাওয়ার পর একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস তার সামনে এসে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই গুড্ডুসহ ৩জন তাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে অপহরণ করে ঢাকার দিকে নিয়ে যায়। এরপর অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে দোতলা বাড়ির একটি কক্ষে ৫ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে অজ্ঞাতনামা এক কাজের বুয়ার মাধ্যমে তিনি ছাড়া পেয়ে ৩০ মে বাড়ি ফিরে এসে স্বামীকে ঘটনাটি জানান।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে সোমবার রাতে ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার এক নম্বর আসামি শরীফুল ইসলাম গুড্ডুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply