দুই মাসের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে দেড় হাজার টাকা বাড়লো। আজ রোববার (২২ আগস্ট) থেকে বাজারে ২২ ক্যারেট সোনার দাম হবে ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা ভরি।
শনিবার (২১ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। সর্বশেষ গত ১৯ জুন সোনার দাম ভরিতে কমেছিলো দেড় হাজার টাকা।
২০২০ সালের ৬ আগস্ট দেশে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ছিলো ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা ভরি। সেটিই ছিল দেশের ইতিহাসে সোনার সর্বোচ্চ দাম। কাল থেকে নতুন দর কার্যকর হওয়ায় ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ৬৯ হাজার ৩০০ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৬১ হাজার ৫০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার অলংকারের ভরি বিক্রি হবে ৫১ হাজার টাকায়।
প্রতি ভরি সোনার গহনায় প্রায় ৩০০০ টাকা মজুরি যোগ করতে হবে ক্রেতাকে।
গত একমাসে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২৮ ডলার কমে ১৭৮১ ডলারে দাঁড়ালেও দেশের বাজারে কেন সোনার দাম বাড়ানো হলো এমন প্রশ্নের জবাবে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়াল গণমাধ্যমকে বলেন, এর আগে যখন দাম কমানো হলো জুনে তখন সোনার দাম ছিলো বিশ্ববাজারে ১৭২০ ডলারের মত প্রতি আউন্স। কিন্তু তারপর থেকে দাম বেড়ে ১৮০০ ডলার ছাড়ায়।
কিন্তু গত দেড় মাসে দেশে লকডাউনের মত বিধিনিষেধ ছিলো, দোকান পাটও বন্ধ ছিলো। তাই সোনার দাম সংশোধন করা হয়নি। তারদাবি সঠিকভাবে মূল্য সমন্বয় করলে দাম বাড়ানো উচিৎ ভরিতে ২৫০০ টাকা। কিন্তু বর্তমানের মন্দা বাজার বিবেচনায় নিয়ে বাজুসের সদস্যদের সাথে আলোচনা করেই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে দেড় হাজার টাকা ভরিতে বাড়িয়ে।
তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তান নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা দূর না হলে সোনার দাম আরো বাড়তে পারে। তখন দেশের বাজারেও বাড়বে সোনার দাম। তারমতে, এখনো দেশে সোনা আমদানির পরিমাণ কম। তার প্রতিষ্ঠান ডায়মন্ড ওয়াল্ড এখন পর্যন্ত স্বর্ণ নীতিমালা হওয়ার পর ১০০ কেজির মত আমদানি করেছে বলে জানান। সেই সাথে আরো দুএকটি প্রতিষ্ঠান কিছু সোনা আমদানি করেছে।
তিনি আরও জানান, ব্যাগেজ রুলে এখনও দুটি বার নিয়ে আসতে পারেন প্রবাসীরা এতে শুল্ক দিতে হয় প্রতিভরি মাত্র ২ হাজার টাকা, আমদানিতে যা প্রায় দ্বিগুণ। এই শুল্ক বৈষম্য দূর করার দাবি করেন তিনি।
Leave a Reply