রাতের আঁধারে কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ (বিএসপি)।
রবিবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ (বিএসপি) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. কাজী এরতেজা হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে দেশ আজও স্বাধীন হতো না, পরাধীন থাকতো।দেশের মানুষ পাকিস্তানের গোলাম হয়ে থাকতো। মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের এই মাসে একদল দুস্কৃতিকারী রাতের আধারে জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙার মতো ধৃষ্টতা দেখিয়েছে।
আমরা এই ঘটনায়তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। যারা জাতির পিতাকে অবমাননা ও অমান্য করে তারা স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরোধী। এ ধরনের অপতৎপরতা কোনোভাবেই বরদাশত করবে না সাংবাদিক সমাজ। এই সব সংশ্লিষ্ট ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সেই সব রাতের আধারের শক্তি ও মদদদাতাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি
বিএসপির নেতারা বিবৃতিতে আরো বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী কখনও গণমাধ্যমের সহায়ক শক্তি হতে পারে না। এরা সৃজনশীল উদ্যোগ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা কোনো শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ করতে পারে না। সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির অপকৌশল হিসেবে চিহ্নিত মহল এই অপতৎপরতায় মেতে উঠেছে। এদের শক্ত হাতে দমন করতে আইনের কঠোর প্রয়োগ চায় সাংবাদিক সমাজ।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে রাতের আঁধারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় নির্মাণাধীন এ ভাস্কর্যের মুখ ও হাতের অংশে ভাঙচুর করা হয়। এরপর গতকাল শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের ব্যস্ততম এলাকা পাঁচরাস্তা মোড়ে ভাস্কর্য স্থাপন এলাকায় এক যুবক মাইক্রোবাসযোগে এসে গুলি ছুড়ে দ্রুত মজমপুর গেট হয়ে চৌড়হাঁসের দিকে চলে যায়। পরে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
Leave a Reply