পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শক্তির শৃঙ্খল থেকে তিনি বাঙালি জনগোষ্ঠীকে মুক্ত করে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আর জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। এ মুক্তির সংগ্রামে তিনি নিজের জীবনকে তুচ্ছ করেছিলেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৫ আগস্ট উপলক্ষ্যে নোয়াখালী জেলা আ.লীগের যুগ্ন- আহবায়ক, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আনম চৌধুরী বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন গণতন্ত্রের অতন্দ্র সৈনিক। কৈশোর থেকেই তিনি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে ছিলেন সোচ্চার। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রধান শক্তির উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে তিনি ছিলেন সর্বদা বজ্রকণ্ঠে কথা বলতেন।
প্রতিদিনের সুবর্ণচর পত্রিকার উপদেষ্ঠা,সুবর্ণচর উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, চরক্লার্ক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছানাউল্যাহ বি কম বলেন-১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে, এক ঐতিহাসিক দলিল। ওই ভাষণ একটি জাতিকে জাগ্রত করেছে, একবিন্দুতে মিলিত করেছে। এমন ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।
বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নাম চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মহিউদ্দিন চৌধুরী -একটি স্বাধীন ভূমির জন্য বঙ্গবন্ধু অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। বছরের পর বছর তাকে কারাগারে কাটাতে হয়েছে।চরম বিপদের মুখে সেখানেও তিনি দেশের মাটির কথা নির্ভীকচিত্তে উচ্চারণ করেন।তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে, শোষণমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে দেশপ্রেম নিয়ে সচেতনতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।
৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম বাহার বলেন-আমাদেরকে বঙ্গবন্ধু আদর্শে অনুপ্রাণিত হতে হবে,, বঙ্গবন্ধু যে দেশপ্রেম দেখিয়েছেন তা থেকে শিক্ষা নিতে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।বঙ্গবন্ধু নিজের মূত্যুকে তুচ্ছ করে সংগ্রাম করে গেছেন এদেশের মানুষের জন্য, তার সেই আত্মত্যাগ চিরকাল মনে রাখার যোগ্য।
আরো একটি প্রশ্নের জবাবে ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৯ওয়ার্ডের মেম্বার নুর আলম বলেন- ১৫ আগস্ট হত্যা নয় দেশের বাতি নিভিয়ে ফেলা, একটি জলন্ত বাতি যখন জ্বলে ওঠে তখন অন্ধকার ঘনিয়ে আলো প্রভাত আসে। আর বঙ্গবন্ধু ছিলো সেই আলোর প্রতীক, যে আলোতে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ নাম একটি মানচিত্র দেখার সুযোগ পেয়েছি।
চর ক্লার্ক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক- মোঃ নুর হোসেন বলেন-, বঙ্গবন্ধু আত্মত্যাগ ইতিহাস থেকে কখনো মুছবে না, ঘতকরা চেয়ে ছিলো ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে তাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলবে কিন্তু তা পারে নি পারবে ওনা।
পরিশেষে,তারা বিডিখবর২৪কে বলেন- ভাবতে কষ্ট লাগে কারণ এদেশের মানুষের ভালো জন্যে তো বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন কে উৎসর্গ করছেন, সংগ্রাম করছেন।বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ,২৬ মার্চে স্বাধীনতার ঘোষণা ছিলো স্বাধীনতার আরেকটি অধ্যায়,, এই মহান নেতা জীবন ব্যাপী বাঙালির জন্য নিবেদিত ছিলেন। বাঙালিকে ভালোবাসতেন বলে খেটেছেন জেল, সহ্য করছেন জুলুম তবু নিজেকে উচ্চ শীরে রেখেছেন মৃত্যূর ভয়কে তুচ্ছ করে সব সময় বজ্র কন্ঠে কথা বলতেন। কিন্তু ভাবতে কষ্ট হয় এমন নেতাকেও জীবন দিতে হলো তারই দেশের মানুষের হাতে। আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
Leave a Reply