বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের প্রথম আসরের শিরোপা জয় করলো জেমকন খুলনা। ফাইনালে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৫ রানে হারিয়েছে তারা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার দেয়া ১৫৫ রানের টার্গেটে ১৫০ এ থামে চট্টগ্রাম। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার সেরা ৭০ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরা খুলনা ক্যাপ্টেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
খুলনার দেওয়া ১৫৬ রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। কিন্তু দলের ২৬ রানে ব্যক্তিগত ১২ করে সৌম্য সরকার ফিরতেই চাপে পড়ে যায় তারা। এরপরই অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনফিরে যান ৭ রান করে।
মেরে খেলতে পছন্দ করা লিটন দাসের কাঁধে বাড়ে চাপ। সেই চাপ সামাল দিয়ে ২৩ বলে ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। তাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য সৈকত আলী থাকলেও সুযোগটা নিতে পারেননি লিটন। ৫১ রানে ৩ উইকেট হারানো চট্টগ্রামকে এরপর আশা দেন শামসুর রহমান।
কিন্তু তিনিও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ২১ বলে ২৩ রান করে পেসার মাহমুদুল হাসানের বলে সাজঘরে ফেরেন। তবে সৈকত আলী একদিতে ছিলেন অবিচল। ২৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার খেলেন ৪৫ বলে ৫৩ রানের ভালো ইনিংস। কিন্তু তার ধীর গতির ওই ইনিংস কাল হয়েছে চট্টগ্রামের। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিনিসার রোল প্লে করা মোসাদ্দেক হোসেনও করতে পারেননি তেমন কিছু। শেষ ওভারে ফিরে যান ১৪ বলে ১৯ রান করে।
জয়ের জন্য শেষ ৪ ওভারে ৪৭ রান দরকার ছিল চট্টগ্রামের। ১৭তম ওভারে মাত্র ৭ রান দেন জাতীয় দলের পেসার আল আমিন হোসেন। তবে পরের ওভারে ১১ রান খেয়ে বসেন শহিদুল ইসলাম। শেষ দুই ওভারে ২৯ রানের লক্ষ্য দাড়ায় সৈকতদের সামনে। তরুণ পেসার মাহমুদ হাসানের করা ১৯তম ওভার থেকে তারা তুলে নেয় ১৪ রান।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৬ রান দাঁড়ায় মোসাদ্দেক-সৈকতের সামনে। কিন্তু ওই রান তাড়া তুলতে পারেননি। বরং শহিদুলের করা ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে আউট হয়ে ফেরেন দু’জনই। শেষ বলে নাহিদুল তাই ছক্কা হাঁকালে হারের ব্যবধান কমে চট্টগ্রামের।
এর আগে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৪৮ বলে ৭০ রানের দারুণ ইনিংসে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পায় জেমকন খুলনা। জাকির হোসেন ২৫, আরিফুল হক ২১ এবং শুভাগত হোম চৌধুরী ১৫ রান করে দলের রান বাড়াতে অবদান রাখেন। ফাইনালে গাজী গ্রুপের চট্টগ্রামের হয়ে শরিফুল ও নাহিদুল নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন। খুলনার শহিদুল দুটি এবং আল আমিন, মাহমুদুল হাসান ও শুভাগত হোম নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
খুলনা- ১৫৫/৭ (২০ ওভার) (মাহমুদউল্লাহ ৭০) (নাহিদুল ২/১৯)
চট্টগ্রাম- ১৫০/৬ (২০ ওভার) (সৈকত ৫৩) (শহিদুল ২/৩৩)
Leave a Reply