বরিশাল সিটি কর্পোরেশন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এর উপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দায়ের’র এর প্রতিবাদে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে উপজেলা আ’লীগ সভাপতি এসএম খালেদ হোসেন স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক মৃধা মুঃ আক্তার উজ জামান মিলনের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি রহমতপুর মীরগঞ্জ সড়কের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভা করা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম খালেদ হোসেন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মৃধাঃ মু আক্তার উজ জামান মিলনের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন কেদারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুব আলম মাসুম মৃধা, দেহেরগতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জসিম উদ্দিন শুভ,
মাধবপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন, জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইউসুফ খান, কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নূরে আলম বেপারী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম কিবরিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল মজিদ মামুন মৃধা, মোঃ ইয়াসির আরাফাত সোহেল,প্রসেনজিৎ দাস অপু প্রমূখ।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল জেলা পরিষদের সদস্য ও যুবলীগ নেতা মোঃ মাইনুল হোসেন পারভেজ মৃধা, উপজেলা আ’লীগের দফতর সম্পাদক বাবু পরিতোষ চন্দ্র পাল, বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিফাত জাহান তাপসী। ছাত্র লীগ নেতা মোঃ রেজাউল করিম সোহাগ, আলহাজ্ব মোঃ সোলাইমান হোসেনসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আ’লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত গত বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলাতেই সিটি করর্পেরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তিনি বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর নির্দেশে হামলার ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৭০ থেকে ৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরির্দশক (এসআই) মো. জামাল বাদী হয়ে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন বলে জানাগেছে।
Leave a Reply