বিরামপুরে স্ত্রীকে মারপিট করে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলা সূত্রে প্রকাশ, উপজেলা কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের পুত্র আব্দুর বিদ্যুৎ (৩৭) তার স্ত্রী দু’সন্তানের জননী জেসমিন আরাকে পারিবারিক কলহের কারণে প্রায়শঃই মারপিট করে আসছিল। গত ২৩ আগস্ট বিকেলে পুনরায় তার স্ত্রী জেসমিন আরাকে মারপিট করে। এসময় বিদ্যুতের দুই ভাই মোতালেব হোসেন পলাশ ও আকাশ এবং পলাশের স্ত্রী শিউলী বেগম জেসমিন আরাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে জিসমিন আরা স্বামীর বাড়িতে শয়ন কক্ষে গিয়ে গোপনে কীটনাশক পান করে। পরবর্তিতে বিষক্রিয়া শুরু হলে লোকজন তাকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দিনাজপুর এম, আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৫ আগস্ট) ভোরে জেসমিনের মৃত্যু ঘটে। এদিকে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে কৌশলে লাশ এনে থানা পুলিশকে না জানিয়ে বুধবার (২৫ আগস্ট) ২ নং কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন ও ৫ নং জোতবানী ইউনিয়ানের সাবেক চেয়ারম্যান শাজাহান আলী ও তার ভাই সহ গ্রাম্য শালীশে কোন মামলা মোকদ্দমা না করার শর্তে লাশ দাফন করে।
থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত জানান, এঘটনায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ হামিদুর রহমান বাদি হয়ে ২৬ আগস্ট থানায় মামলা করেছেন। জেসমিনের স্বামী আব্দুর বিদ্যুতকে আটক করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহান সিরাজ জানান, রিমান্ড আবেদনসহ আসামীকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ এবং লাশ উত্তোলনের আবেদন করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply