ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের কশালগাঁও গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িয়ে তিন ধরে প্রেমিকা অনশন করে রয়েছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার কশালগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তারা দুজনেই একই গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, কশালগাঁও গ্রামের আজাহারুল ইসলামের মেয়ে সুরমার সাথে একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সুমনের সাথে ৬ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এক পর্যায়ে সুরমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুমন শারীরিক সম্পর্কও করে। কয়েক সপ্তাহ ধরে সুরমা প্রেমিক সুমনকে বিয়ের কথা বললে সুমন বিয়ে করতে টালবাহানা করে। উপায় না পেয়ে গত শনিবার রাতে সুরমা আক্তার প্রেমিক সুমনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সুরমা আক্তার ও সুমনের প্রেমের সম্পর্কের জেরে সুরমা আক্তার সুমনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে। বিষয় টা সামাজিকভাবে সমাধানের জন্য গত রবিবার রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য বিশ্বনাথ ও স্থানীয় ব্যক্তিগণ আলোচনায় বসেছিল কিন্তু সুমনের পিতা কোন সিদ্ধান্তে উপনীত না হওয়ার কারণে সুরমা আক্তার সুমনের বাড়িতে অনশন অবস্থায় আছে।
অনশন অবস্থায় থাকা সুরমা আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সুমনের সাথে আমার ৬/৭ মাসের প্রেমের সম্পর্ক। সুমন বিয়ের কথা বলে আমার সাথে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কও করেছে। আমি সুমনকেই বিয়ে করব তাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করব না। তাকে না পেলে আমি আত্মহত্যা করব।
অন্যদিকে সুমনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সুরমা আক্তারের সাথে তার কোন প্রেমের সম্পর্কই ছিল না। শুধু এলাকাবাসী হিসেবে ভাই বোনের সম্পর্ক ছিলো তাদের।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য বিশ্বনাথ বলেন, আমরা সামাজিকভাবে তাদের নিয়ে বসেছিলাম। কিন্তু সুমনের পিতা কোন সিদ্ধান্তে উপনীত না হওয়ার কারণে কোন সমাধান করতে পারি নাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন জানান, আমি শুনেছি যে একটা মেয়ে এক ছেলের বাড়িয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন করতেছে। তবে তারা পারিবারিক ভাবে সমাধান করবে বলে আমি তাদের সময় দিয়েছি। সমাধান হয়েছি কিনা? মেয়ে টা এখন কোথায়? এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, আমি আর যোগাযোগ করিনি । তাই বলতে পারবো না।
এ ব্যাপারে রুহিয়া থানার ওসি চিত্তরঞ্জন কুমার রায় বলেন, প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশনের বিষয়ে আমি জানিনা। আমার কাছে কোন অভিযোগ নেই। অভিযোগ পাইলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিব।
Leave a Reply