তিন রাজস্ব কর্মকর্তাকে দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে রাজস্ব ফাঁকিতে সহযোগিতার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ বুধবার বেনাপোল বন্দরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে বন্দর কাস্টমসের কমিশনার আজিজুর রহমান এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে বহিঃস্কৃত কাস্টমস কর্মকর্তারা হলেন- রাজস্ব কর্মকর্তা নাশেদুল ইসলাম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আশাদুল্লাহ ও ইবনে নোমান।
বেনাপোল বন্দর কমিশনারের প্রাথমিক তদন্তে এই তিন কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চত হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও তদন্তনাধীন বলে কাস্টমসের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজে চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরের গত ৫ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৫০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
এখানে ঘাটতি হয়েছে ৯৯৯ কোটি ৯ লাখ টাকা। অর্থ বছরের বাকি ছয় মাসে এই ঘাটতি পূরণ সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে বন্দর ব্যবহারকারীরা। করোনাকালীন দীর্ঘদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শুল্ক ফাঁকির ঘটনায় এই রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, শুল্কফাঁকির অভিযোগে ৮টি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স বাতিল ও তিন কাস্টমস কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে চার সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীকে। বছর শেষে আরও বড় ধরনের রাজস্ব ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বেনাপোল কাস্টমসে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছিল তিন হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
বাতিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা হলেন- মেসার্স রিমু এন্টারপ্রাইজ, তালুকদার এন্টারপ্রাইজ, এশিয়া এন্টারপ্রাইজ, মাহিবি এন্টারপ্রাইজ, সানি ইন্টারন্যাশনাল, মদিনা এন্টারপ্রাইজ, মুক্তি এন্টারপ্রাইজ ও রিয়াংকা এন্টারপ্রাইজ।
Leave a Reply