ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় আশিকা জাহান সিপা (১৭) নামের এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে পৌর এলাকার মুন্সেফপাড়া বোডিং মাঠ পুকুর থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সিপা জেলা শহরের গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। সে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের শাহিন মিয়ার মেয়ে। তারা পরিবারসহ জেলা শহরের মুন্সেফপাড়ায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করতেন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিপার টিউশন শিক্ষক ও প্রেমিক বাইজিদ সরকারকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ।
আটক বাইজিদ সরকার জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের খিদিরপুরের মুখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি জেলা শহরের মুন্সেফপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে মাস্টার্স শেষবর্ষে অধ্যয়নরত এবং শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ান।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাইজিদ সরকার মুন্সেফপাড়ায় বিভিন্ন বাসাবাড়িতে টিউশনি করান। সিপাকেও তার বাসায় গিয়ে গত তিন বছর ধরে পড়াচ্ছিলেন বাইজিদ। এরই মধ্যে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি সিপা বিয়ের জন্যে বাইজিদকে চাপ দেয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
শনিবার (২৭ আগস্ট) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে সিপা কাউকে কিছু না বলে লুকিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। অনেক খুঁজাখুজি করে তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বোডিং মাঠ পুকুরে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় প্রেমিক বাইজিদ সেখানে এলে তাকে পিটুনি দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বাইজিদ সরকার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সিপার সঙ্গে আমার প্রায় তিন বছরের প্রেমের সম্পর্ক। কয়েকদিন আগে তার পরিবারের সদস্যরা আমাদের দুজনকে রাস্তায় একসঙ্গে দেখে ফেলেন। এরপর থেকে সে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। গতকাল রাত আড়াইটার দিকে সিপা আমাকে কল করে বিয়ের কথা বলে। আমি তখন তাকে বলেছি এই মুহূর্তে আমার বিয়ে করা সম্ভব না। তখন সে বলে আমি বাসা থেকে বের হয়ে যাচ্ছি। এরপর আর তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ভেসে ওঠার খবরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। মেয়েটির প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
Leave a Reply