করোনার মধ্যেও গত বছর থেকে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা চলছে ভারত ও চীনের। এর মধ্যেই অরুণাচল সীমান্তে চীনা আগ্রাসনের অভিযোগ এনেছে ভারত। অরুণাচলের উত্তর সুবনসিরি জেলার চার কিলোমিটর ভেতরে ঢুকে গ্রাম তৈরির অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে।
অরুণাচল সীমান্তে তাসরি চু নদীর তীরে বানানো ওই গ্রামে প্রায় ১০১টি ঘর তৈরি করেছে চীনা সেনাবাহিনী। উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে ওই গ্রামের ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এই ছবি ২০২০ সালের ১ নভেম্বর তোলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এ ছবির সঙ্গে ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট ঠিক একই এলাকার একটি উপগ্রহ চিত্রও প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ছবিতে জঙ্গলাকীর্ণ নদীর তীরে জনবসতির কোনও চিহ্ন নেই। আড়াই মাস আগে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে সেখানে কিছু বাড়ি তৈরি করা হয়েছে।
ভারতের দাবি, ওই এলাকার অবস্থান এলওসির কমপক্ষে সাড়ে ৪ কিলোমিটার ভেতরে অর্থাৎ ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যেই।
খবরটি প্রকাশের পর এখন পর্যন্ত ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এর সরাসরি বিরোধিতা করা হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত কয়েক বছরে চীন এলওসি বরাবর পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে। এ বিষয়ে সাম্প্রতিক কিছু রিপোর্টও হাতে এসেছে।
এর আগে গত নভেম্বরে অরুণাচলের বিজেপি সাংসদ টাপির অভিযাগ করেছিলেন, আপার সুবনসিরি জেলায় এলওসি পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে স্থায়ী কাঠামো বানাচ্ছে চীন।
আবার সেই নভেম্বরেই ভারত-চীন ও ভূটান সীমান্তবর্তী ডোকলামের অদূরে ভুটানের দুই কিলোমিটারেরও বেশি ভেতরে ‘পাংদা’ নামে একটি গ্রাম তৈরির অভিযোগ উঠেছিল চীনের বিরুদ্ধে। যদিও চীনা পররাষ্ট্র দফতর সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। খবর এনডিটিভি, আনন্দবাজার, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ডেইলি মেইল।
Leave a Reply