চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকে পড়া আরও ৮৩ বাংলাদেশী নারী-পুরুষ। বৃহস্পতিবার(২০ মে)সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ সীমান্ত পথ দিয়ে এসব বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী যাত্রীরা দেশে প্রবেশ করেন।
দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টে পৌঁছালে তাদের হেলথ স্ক্রিনিং ও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। এসময় ভারত ফেরত দুইজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরে সকল প্রক্রিয়া শেষে সেখান থেকে তাদেরকে বাস ও মাইক্রোবাস যোগে চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) ও যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষন কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
সেখানে তারা নিজ খরচে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলত কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত দুইজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশ ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯ জন ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশী দেশে ফিরল।
দর্শনা ইমিগ্রেশন সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় দিনের মতো চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ৮৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক দেশে প্রবেশ করেছেন। তারা সবাই করোনা মহামারীতে ভারতে গিয়ে আটকা পড়েছিলেন। দেশে প্রবেশের পর চেকপোস্টের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে।
দর্শনা চেকপোস্টের অস্থায়ী হেলথ স্ক্রিনিং বুথের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ অমিত কুমার বিশ্বাস জানান, দেশে ফেরা সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সেইসাথে এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে সবার করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় ভারত ফেরত দুই জনের শরীরের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যদিও তাদের ভারতে করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা: এ এস এম মারুফ হাসান জানান, ভারত থেকে ফিরে আসা ৮৩ জনের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হওয়া দুইজনকে এ্যাম্বুলেন্সযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। বাকি ৮১ জনকে বাস ও মাইক্রোবাসযোগে চুয়াডাঙ্গার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) ও যুব উন্নয়ন ভবনে নেয়া হয়েছে। সেখানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে করোনা টেষ্ট করে যদি নেগেটিভ হয় তাহলে বাড়ী ফেরার অনুমতি দেয়া হবে।
এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ভারত থেকে ফেরা বাংলাদেশির সংখ্যা দাঁড়াল ২৯৯ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ জনের। তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
এছাড়া ভারত ফেরা এক নারী ক্যান্সারে আক্রান্ত সে গতকাল রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সে মারা যায়। তাকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় কার নিজ বাড়ি চট্রগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply