ভারী বর্ষণে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে তিস্তা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌরাহা গ্রামের বাসিন্দারা বাড়ীঘর সরিয়ে নিচ্ছেন অন্যত্র স্থানে। এসব পরিবারের থাকার জায়গা না থাকায় বাঁধের ধারে আশ্রয় নিচ্ছেন। এদিকে জিও ব্যাগে বালু ভরাট করে নদীতে ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ।
গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দিনভর ভারী বর্ষণে আবারো তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তিস্তা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে তিস্তার ভাঙনে চর সিংঙ্গমারী গ্রামটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। নতুন করে মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌরাহা গ্রামটির এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নতুন করে ভাঙন দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে গ্রামটির ২ শতাধিক পরিবারের বাড়ীঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলানে হচ্ছে তিস্তা নদীতে। তবে অতি বর্ষণ ও তিস্তার পানি বৃদ্ধির কারণে জিও ব্যাগ ফেলতে সমস্যা হচ্ছে বলে এলাকাবাসী দাবী করেন।
এদিকে ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সরকারিভাবে এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য এখন পর্যন্ত কোন সাহায্য সহযোগিতা পৌঁছেনি বলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী জানান। মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী বলেন, পানিবৃদ্ধির সাথে ভাঙন প্রকট আকার ধারন করেছে। উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সহায়তায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)মফিজুল ইসলাম বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply