পাশবিক নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীর সঙ্গে কথা বলেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন (পিপিএম)।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেগমগঞ্জ মডেল থানার একটি কক্ষে একান্তে ভিকটিমসহ তার স্বজনদের সঙ্গে আধা ঘণ্টা ধরে কথা বলেন তিনি।
পরে ডিআইজি সাংবাদিকদের জানান, নির্যাতিতা নারীর মুখ থেকে তিনি বিস্তারিত শুনেছেন। এ ঘটনায় কি করণীয় সে বিষয়ে পুলিশকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই নারী ও তার স্বজনদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ।
দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে ডিআইজি সাংবাদিকদের বলেন, গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ তৎপর হয়ে ব্যাবস্থা নিয়েছেন। এ জঘন্যতম ঘটনায় আমরা লজ্জিত ও বিব্রত। এ মামলা তদন্তে কোন রাজনৈতিক চাপের কাছে মামলার তদন্ত ব্যহত হবে না এবং তদন্তে কোন রাজনৈতিক বিবেচনা করা হবে না। আমাদের কাছে অপরাধী, অপরাধী হিসেবেই পরিচিত। গৃহবধূর দেওয়া এজহারে উল্লেখিত আসামি ছাড়া তদন্তে যদি আরো কারও নাম আসে, সেই নামও আসামি হিসেবে যুক্ত করা হবে।
ডিআইজি বলেন, ঘটনার এক মাস পর হলেও পুলিশের নজরে আসার সাথে সাথেই পুলিশ কার্যকরি ভূমিকা পালন করছে। মামলার ৯জন আসামির মধ্যে এজহারভুক্ত ৪ আসামিসহ ৬জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরাও অল্প সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় চলে আসবে। তিনি সংবাদপত্র ও মিডিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।
ডিআইজি বলেন, এ অঞ্চলে দেলোয়ার বাহিনীর মতো তথাকথিত যেসব বাহিনী রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না এবং এইসব বাহিনীর ইন্দনদাতাদের বিরুদ্ধেও পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।
ভিডিও ভাইরালের বিষয়ে ডিআইজি বলেন, কারা এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেছে, তাদের ব্যাপারেও পুলিশ তদন্ত করছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বেলা ১২টার বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকায় ওই নারীকে নির্যাতন করা সেই টিনের ঘর পরিদর্শনে যান। এসময় ডিআইজির সঙ্গে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখ ও বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. হারুনুর রশিদ চৌধূরী উপস্থিত ছিলেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার এখলাশপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বড় খালপাড় এলাকায় ঘরে ঢুকে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করে একদল তরুণ। সেসময় ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণ করে তারা। গত এক মাস ধরে তারা এই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগী নারীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়।।
Leave a Reply