ভূরুঙ্গামারীতে সুপ্রীম কোর্টের স্ট্যা অর্ডার অমান্য করে ভুমিদস্যু কর্তৃক বাড়ি ভাংচুর ও প্রাননাশের হুমকিতে জমির মালিক বাড়ি ছেড়ে ঘুরছে প্রশাসনের দারে দারে। সুপ্রীম কোর্টের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমির ধান কাটার চেষ্টা। ধান কাটাকে কেন্দ্র করে যেকোন মুহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ । ভুমি দস্যুদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা।
জানাগেছে উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানী গ্রামের মৃত আবরদি মুহম্মদ সেখের পুত্র মৃত ইব্রাহীম ও এছাহান আলীর ওয়ারিশগন দীর্ঘদিন থেকে জমি ভোগ দখল করে আসা অবস্থায় এছাহান আলীর মৃত্যুর পর তার পুত্র আবুল কাশেম জমি ভোগ দখল করে আসা অবস্থায় এলাকার ভুমিদস্যু হিসাবে খ্যাত মৃত উমর উদ্দিনের পুত্র আব্দুল লতিফ এছাহান আলীর বড় ভাই নিজামুদ্দিন মুন্সীকে এছাহান আলীর পুত্র সাজিয়ে জাল দলিল তৈরি করে ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করে জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে ভুমিদস্যুরা। ইতিমধ্যে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে জাল দলিল করায় বিজ্ঞ বিচারক বাদী হয়ে আদালতে
মামলা দায়ের করেন। এদিকে আব্দুল লতিফ ও আব্দুল মতিন গং হাইকোর্টে নিজামুদ্দিন মুন্সীকে এছাহান আলীর পুত্র সাজিয়ে তার জাল দলিলটি হাইকোর্টে মঞ্জুর করায় এদিকে হাইকোর্ট হাইকোর্টের ঐ মামলার বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে নিজামুদ্দিন মুন্সী এছাহান আলীর বড় ভাই এবং বিতর্কিত জমির কোন ওয়ারিশ নয় এছাহান আলীর পুত্র আবুল কাশেম মারা গেলে ঐ জমির প্রকৃত ওয়ারিশ সোলেমান আলী, বাবলু মিয়া ও আকলিমা বেগম ভোগ দখল করে আসছে মর্মে প্রমানিক কাগজপত্র দাখিল করে আপীল করলে সুপ্রীম কোর্ট গত ১২ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখে মৃত ইব্রাহীম আলীর পুত্র ইনছার আলীগং হাইকোর্টের ঐ রায়ের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আপিল দাখিল করেন। যার মামলা নং ৬৪৫/২০২৩। সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ইনছার আলী ও আব্দুল লতিফ ও মতিনগং দুপক্ষকে বিরোধীয় সম্পত্তিতে দখল বিষয়ে ৮ সপ্তাহের জন্য স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ এবং বাদী ইনছার আলীকে লীভ পিটিশন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। সুপ্রীম কোর্ট উক্ত পিটিশনের প্রেক্ষিতে ৮ সপ্তাহের স্থগিতের আদেশ প্রদান করার পরেও তারা আদালতের আ্ইনকে অমান্য করে বিবাদী আব্দুল লতিফ ও মতিন গং পেশী শক্তি ও ভাড়াটিয়া মাস্তান বাহিনী দিয়ে গত ১৩.০৭.২০২৩ ইং তারিখে ইনছার আলীর নাতী ও মেয়ের বাড়িসহ আরও ৩ টি বাড়ি এবং ১৫.০৭.২০২৩ ইং তারিখে আরও ১টি আধাপাকা বিল্ডিংবাড়ি ভাংচুর করে। ভাংচুরের ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় ৪৮ জনের নামে মামলা দায়ের করেন যা বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে। এদিকে সুপ্রীম কোর্ট লীভ পিটিশনের পরবর্তী শুনানীতে বিবাদী আব্দুল লতিফ মতিন গংয়ের উপর ২০০৬ সালের ১৭ অক্টোবর নং এফ-১-৪৭/০৬ এসসি(এডি ) মোতাবেক সিভিল, মিস পিটিশন, সিভিল পিটিশন, ক্রিমিনাল, মিস পিটিশন, ক্রিমিনাল পিটিশন, সিভিল আপিল, ক্রিমিনাল আপিল ইত্যাদি মোকদ্দমায় স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। উল্লেখ্য উক্ত জমিতে ঘটনার পুর্বেই এছাহান আলীর ওয়ারিশরা রোপা আমন ধান রোপন করে যা বর্তমানে জমির ধান কাটার সময় হয়েছে। এদিকে বিবাদী আব্দুল লতিফ মতিন গং সুপ্রীম কোর্টের স্থায়ী নিষেজ্ঞা অমান্য করে জমির মালিকরা জমিতে ধান কাটতে গেলে যেকোন মুহুর্তে খুন জখম ও মারপিট করে আহত করতে ভাড়াটিয়া মাস্তান বাহিনী দিয়ে সব সময় নজরদারী করাসহ জমির ধান কেটে নেয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে। বিষয়টি জানার পর জমির ওয়ারিশ মোঃ জিল্লুর রহমান গত ৯ নভেম্বর জমিজমা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার, ভূরুঙ্গামারী থানা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রুহুল আমিন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply