কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে ভারতীয় গরু পাচার রোধে বিজিবি’র টহলরত্ব একটি দলের অভিযোগ আসাদুল হক (৪০) নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে অবৈধ পথে আসা ভারতীয় ৪ টি গরু রাখা হয়েছে বলে তল্লাশি করতে চাইলে এলাকাবাসী ও বিজিবিদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরী হলে আত্নরক্ষায় বিজিবি ২ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে। ঐ গুলি বিদ্ধে এক ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাতে দক্ষিন ছাট গোপালপুর (শালমারা নদীর পার) সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার কালে দিয়াডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের একটি টহল দল চোরাকারবারিদের ধাওয়া করে। বিজিবির অভিযোগ এসময় চোরাকারবারিরা ৪ টি গরু নিয়ে পালিয়ে দক্ষিনছাট গোপালপুর গ্রামের আসাদুল ইসলামের (৪০) এর বাড়ির গোয়াল ঘরে রাখে। এসময় নায়েব সুবেদার নুরুল হুদার নেতৃত্বে টহল দল ঐ বাড়ি ঘেরাও করলে স্থানীয় গ্রামবাসী একতাবদ্ধ হয়ে তাদের নিজেদের গরু দাবী করে বিজিবিকে চ্যালেঞ্জ করে। পরে এলাকাবাসী ও বিজিবিদের মধ্যে উত্তেজনা ও ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সিপাই মোঃ তারেক রহমান (কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন-২২)’ এর উপর অজ্ঞাত কয়েক জন ব্যক্তি লাঠি চার্জ করে। লাঠি চার্জে তার একটি হাতে আঘাত পায়। পরে বিজিবি আত্মরক্ষার জন্য দু-রাউন্ড (এসএমজি) গুলি করে। এতে উত্তর তিলাই গ্রামের কেতু শেখের পুত্র জহুরুল হক পায়ে গুলি বিদ্ধ হয়। গুলি বিদ্ধ ব্যক্তি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানাগেছে। স্থানীয় গ্রামবাসীর অভিযোগ আসাদুলের পালিত গরু বিজিবি পাচার করা গরু সন্দেহে আটক করতে গেলে গ্রামবাসী বাঁধা দিলে তারা গুলি ছুড়ে এবং একজন পায়ে গুলি বিদ্ধ হয়।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আব্দুল মোত্তাকিম জানান,চোরাকারবারীরা বিজিবির টহল দলে হামলা করলে বিজিবি ফাঁকা গুলি ছুড়ে।এতে কেউ আহত হয়েছে কিনা খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, গোলাগুলির কথা শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি।
Leave a Reply