প্রতিটি মানুষই স্বপ্ন দেখে বুকে আশা বাধে। কার ও স্বপ্ন সত্য হয় আবার কার ও স্বপ্ন ব্যর্থতার দুঃস্বপ্ন হয়ে ফিরে আসে তলিয়ে যায় আধারের অতল গহবরে। জবির মেধাবী ছাত্র আহমদের সামনে এগুনোর পথ এখন দুর ধুয়াশার মত দুর্গম গিরি পথ।
নাটোরের লালপুর উপজেলার ক্যান্সারে আক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষাথী আহম্মদ আলী আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাই।
গত ১০ই ডিসেন্বর ২০২০ইং পেটের সমস্যা নিয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে ১৩ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিনই জরুরী ভিত্তিতে অপারেশন করা হয়। এতে পেটে একাধিক টিউমার অপারেশন করা হয়। পরবর্তীতে সেই টিউমারের ‘বায়োপসি টেষ্ট’ করে কোলন ক্যান্সার কোষ সনাক্ত করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মাস্টার্স ২য় সেমিস্টার এর শিক্ষার্থী আহম্মদ আলী। আকাশসম স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনা শেষ করে হাল ধরবেন পরিবারের। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পড়াশোনার অর্থের যোগানদাতা বাবাকে আর ইটভাটার শ্রমিকের কাজ থেকে মুক্তি দেবে। এমন হাজারো স্বপ্ন ছিল তার মনে। কিন্তু স্বপ্নগুলো তার দুঃস্বপ্ন হয়ে চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এখন সে কোলন ক্যান্সার নামক মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার প্রায় ৮ থেকে ১০ টি কেমো সাইকেল লাগতে পারে। প্রতি কেমোতে প্রায় ৮০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষাসহ প্রায় ১২ লাখ টাকা লাগবে। কিন্তু সাধ্য কোথায় পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্যে আহম্মদ আলী লেখাপড়া ও চাকুরীর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ ক্যান্সার নামক মরণব্যাধিতে আক্রান্ত। যে ছেলেটি ক্যাম্পাসে এলাকায় ছিল প্রাণচঞ্চল হাসি খুশি এবং নানান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য। একটু মানবিক সহায়তায় পারে তার প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরিয়ে আনতে। আহম্মদ আলীর বাড়ি নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া মোহরকয়া গ্রামে। খোরশেদ আলমের দুই সন্তানের মধ্যে সে সবার বড়। ছোট ভাই এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। তার বাবা ইটভাটার শ্রমিক। তার বাবার পক্ষে এতো টাকায় চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। এজন্য আহম্মদ আলীর পরিবার ও বন্ধুরা সবার কাছে মানবিক সহায়তার জন্য আবেদন জানিয়েছেনে। এ ক্ষেত্রে সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবানরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে হয়তো চিকিৎসা পেয়ে বেঁচে ফিরবে।
আহম্মদ আলীর সামনে এখন দূর ধুয়াশার মত সুবিশাল ছায়া পথ। জীবনে কিভাবে পাড়ি দিবে এই আধারের জীবন নিয়ে ক্যান্সার নামক মরণব্যাধিতে আক্রান্ত রোগে শোকে নুয়ে পড়েছে। আহম্মদ আলী বাকি জীবনে বেঁচে থাকার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে।
Leave a Reply