ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা মৃত নারীদের ধর্ষণের অভিযোগে মুন্না ভগত (২০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে সিআইডির পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার মুন্না ভগত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে তার মামা ডোম জতন কুমার লালের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। দুই-তিন বছর ধরে সে মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিল।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার বলেন, জঘন্যতম ও খুবই বিব্রতকর অভিযোগ। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার পরই ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হতো, সেই সব লাশের মধ্য থেকে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো মুন্না।
অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার আরো বলেন, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত ডোম ও মুন্নার মামা জতন কুমার লাল জানান, মুন্না গত দুই/তিন বছর ধরে তার সহযোগী হিসেবে মর্গে কাজ করতো। তার বাবার নাম দুলাল ভগত। গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজারে। সে আরো দুই/তিন জনের সঙ্গে মর্গের পাশে একটি কক্ষেই রাতে থাকত।
মুন্নার বিরুদ্ধে মৃত নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে জতন কুমার লাল বলেন, মুন্না মাঝে মধ্যে গাঁজা বা নেশাটেশা করতো। কিন্তু এরকম একটি কাজ সে করতে পারে, তা ভাবতেই পারছি না।
Leave a Reply