অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগের মামলায় কুয়েতের কারাগারে থাকা লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার মেয়ে-শ্যালিকাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২১ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১০ মার্চ) মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী নতুন এ দিন ধার্য করেন।
পাপুল ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তদন্ত করে মোট ৩৫৫ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা থাকায় মানি লন্ডারিং আইনে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার আলামিন বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, জেসমিন প্রধানের কোম্পানি জে ডব্লিউ লীলাবালী, কাজী বদরুল আলম লিটনের মালিকানাধীন কোম্পানি জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল, এই কোম্পানির ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫-৬ জন।
মামলায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়। সেগুলো হলো- জে. ডব্লিউ লীলাবালী ও জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল। জে. ডব্লিউ লীলাবালীর প্রোপ্রাইটর পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর পাপুলের ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন সময় ৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। আর এর সঙ্গে পাপুল ও তার মেয়ের প্রতিষ্ঠান জড়িত।
Leave a Reply