বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ চর্যাপদ থেকে এ পর্যন্ত যত সাহিত্য রচিত হয়েছে তার সিংহভাগ জুড়ে নর নারীর প্রেম-ভালোবাসা, বিরহ ছলনা। প্রকৃত পক্ষে প্রেম জীবনকে সুন্দর করে, রঙিন করে, সার্থক করতে অনুপ্রেরণা জোগায়। আর ছলনাতে জীবনখানি নিশিদিন ধূপের মতো জ্বলে।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শাখা- গীতিকবিতা। যারা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বিচরন করেছেন তাদের রচিত গীতিকবিতা সমূহ এর বৈশিষ্ট্য গতানুগতিক ধারার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন স্বাদের। শব্দ চয়নে সে সব গীতিকবিরা সব সময় যত্নবান। তাদের গীতিকবিতায় বিমূর্ত হয়ে ফুটে উঠে সমাজের চিত্র।
কবি ও লেখক মৌ মধুবন্তীর গীতিকবিতাও তার ব্যতিক্রম নয়। সাবলিল ভাষায় কিযে মধুর শব্দে কখনোবা আনন্দে কখনোবা বিরহে হৃদয়ের অসীম দরদ দিয়ে বুনেছেন ভালোবাসার গান। কেবল ভালোবাসার গান নয় মৌ মধুবন্তী সৃজনশীল প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন দেশের গানে, মায়ের গানে, প্রকৃতির গানে। এ প্রতিবেদনে আমরা তার ভালোবাসার একগুচ্ছ গান সম্পর্কে আলোকপাত করছি। মৌ মধুবন্তীর “আশা দাওনি” গানটিতে সুরারোপ করেন মাকসুদুল হক বাচ্চু আর কণ্ঠদেন পারমিতা হক কঙ্কন। “আশা দাওনি” গানটিতে বিরহের সুর বাজে। ইতিমধ্যে গানটি দারুন ভাবে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
শান এর সুর সঙ্গীতে মৌ মধুবন্তীর “যে মনের দামে” কণ্ঠশিল্পী বানী এবং “পঞ্চমী সুর” কণ্ঠশিল্পী শান গানদ্বয়ে মানব হৃদয়ের বিরহ কষ্ট দুঃখ যন্ত্রণার দাগ গীতিকবি যেন কলমে নয় তুলির আঁচড়ে এঁকেছেন খুব যত্ন করে। যা একবার নয় শুধু বারবার শুনতে ইচ্ছে হয়।
গীতিকবি মৌ মধুবন্তী অসীম দরদ দিয়ে লিখেছেন “বৃষ্টি ভালোবাসা”। গানটিতে আমরা গীতিকারের অফুরন্ত আবেগের খোঁজ পাই। শানের সুরে শিল্পী মারিয়া গেয়েছেন মায়াভরা কণ্ঠে। সব মিলিয়ে মৌ মধুবন্তীর ভালোবাসার গানগুলো পেয়েছে বিশিষ্টতা।
Leave a Reply