যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়ার অপরাধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নায়েক রুহুল আমিন শেখকে সাজা দিয়েছে বরিশালের আদালত।
৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ তাকে ২ বছর কারাদন্ড সহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিনমাস কারাদণ্ড দেন। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানায়, সাজাপ্রাপ্ত রুহুলের বাড়ি উজিরপুর উপজেলার কাজিরা গ্রামে। তার বাবার নাম নূর ইসলাম শেখ।
রুহুল সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল উজিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার। অভিযোগে তিনি বলেন, ৮ বছর পূর্বে রুহুলের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়। নাম সায়েম মাহামুদ। বিয়ের পর কিছুদিন যেতে না যেতেই রুহুল দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
২০০৭ সালের ১৫ অক্টোবর তাকে একলাখ টাকা দেয়া হয়। কিছুদিন পর পুনরায় সে যৌতুক দাবি করে। ২০১০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বাকি একলাখ টাকা দাবি করে। ব্যর্থতা প্রকাশ করলে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দিতে উদ্যত হয়।
ডাক চিতকার করলে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে। এধরণের অভিযোগ দিয়ে মামলা দায়ের হলে থানা পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা পায়। এস আই শহীদুর রহমান ২০১৫ সালের ২৪ মে রুহুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষ ৭ জনের সাক্ষ্য প্রদানে সক্ষম হয়। সাক্ষী প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত রুহুলের উপস্থিতিতে তাকে ওই সাজা দেন। রায় শেষে তাকে সাজাভোগে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
Leave a Reply