আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বৃহস্পতিবারের জোড়া বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নিউজ ১৮ এবং জি-নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিনের বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও অন্তত ১৫০ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই আফগান নাগরিক। এই হামলায় বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা ও নাগরিকও নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন।
বর্বর এই হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামলার পেছনে দায়ীদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) জো বাইডেন বলেছেন, ‘আমরা ক্ষমা করবো না। আমরা এই হামলার কথা ভুলেও যাবো না। আমরা হামলাকারীদের অবশ্যই খুঁজে বের করবো এবং জড়িতদেরকে এর মূল্য দিতে হবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দেন যে, কাবুল দখলের পর তালেবান কারাগারগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়ায় হয়তো সেখান থেকেই হামলাকারীরা বেরিয়ে এসেছে। তিনি এই হামলার জন্য আইএস-কে সন্ত্রাসী গ্রুপকে অভিযুক্ত করেন। যদিও বাইডেনের আগেই কাবুলের এই জোড়া হামলার জন্য দায় স্বীকার করে নিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীটি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসীদের ভয়ে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই চুপ করে বসে থাকবে না। তার ভাষায়, ‘আমরা এই মিশন বন্ধ করবো না। আমরা (কাবুল থেকে) আমাদের এই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবো।’
১৫ আগস্ট তালেবানদের দখলে নেওয়ার পর কাবুল থেকে এক লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৩১ আগস্ট মার্কিন বাহিনী চলে যাওয়ার আগে বহু মানুষ দেশটি ছাড়তে চাচ্ছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরপর দু’টি বিস্ফোরণ ঘটে। প্রথম বিস্ফোরণটি হয় অ্যাবেই গেটের কাছে। যেখানে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী বিমানবন্দরের দায়িত্বে ছিল। হামলার পর গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এর কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে ব্যারন হোটেলের পাশে। যেখানে ব্রিটিশ কর্মকর্তারা যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ প্রত্যাশী আফগানদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছিল।
Leave a Reply