জাতির পিতা রক্ত দিয়ে গেছেন। আমার মা, ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছেন। আমিও রক্ত দিতে বাংলাদেশে পা রেখেছি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৬ আগস্ট) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ-এ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছেন, এর সুফল প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষও যাতে পায়, সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিলেন, নিজের জন্য ভাবতেন না। শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। এই দেশের সন্তান কেউ এই দেশ শাসন করতে পারেনি। একমাত্র মাটির সন্তান বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন। একটি সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিলো দেশ গড়ে দেবেন। কিন্তু তা করতে দেয়নি খুনীরা।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে আমরা দেখেছি শুধু নেতাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবারসহ হত্যা করা হয়েছে। খুনীরা নারী, শিশু কাউকে ছাড়েনি।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সংগে জড়িতদের সামনে আনতে কমিশন গঠন করার দাবি প্রসংগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখনকার পত্র-পত্রিকা দেখলে অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। একটা দেশ গড়তে অনেক সময় লাগে। বঙ্গবন্ধুকে একটা বছর সময় না দিয়েই সমালোচনা শুরু হলো। সমালোচকরা হত্যার ছক তৈরি করেছিলো। আপনারা কমিশন গঠন করতে বলছেন, এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে আপনারা বুঝতে পারবেন। হত্যার বিচার করেছি, কারা জড়িত ছিলো সেটিও বের করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে ফিরে এসে বহু বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছেন, সেই স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই আমি সব বাধা পার করেছি।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অনেকে আছেন যারা তাৎক্ষণিক কিছু পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে যান, কোনো সংকট আসলেই তারা ঘাবড়ে যান। তারা দুঃসময়ে দাঁড়াতে পারে না, আত্মসমর্পণ করে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply