অভিযোগের মীমাংসা করার কথা বলে ডেকে ২০ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল আলমের (৩২) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করেছে গুলশান থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ওই ঘটনায় গুলশান থানায় মামলা দায়েরের পর এসআই খায়রুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গুলশান থানা পুলিশ জানায়, রাজধানীর নিকেতন এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগে এসআই খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা ওমেদার মোহাম্মদ সরোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গুলশান থানার মামলায় গ্রেপ্তার এসআই খায়রুল আলমকে হাজির করে পাঁচদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তার এসআই খায়রুল আলম রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় কর্মরত।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করে বলেন, মাসখানেক আগে এক বন্ধুর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুলের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। তার সূত্র ধরে খায়রুল তাকে বিভিন্ন সময় ফোন করে দেখা করতে বলতেন। পরে গত সোমবার সকালে অফিসে যাওয়ার সময় স্কয়ার হাসপাতালের কাছে পান্থপথে খায়রুল ওই তরুণীকে দেখতে পান। বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগের মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে এসআই খায়রুল তাকে মোটরসাইকেলে করে গুলশানের নিকেতনে এক বাসায় নিয়ে যান। পরে সেই বাসায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে মোটরসাইকেলে করে পান্থপথে নামিয়ে দেন।
এ ঘটনার পরে গুলশান থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। এরপরে খায়রুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Leave a Reply