ভাটাপাড়া কামাল খাঁ মোড় নিবাসী মোঃ সারোয়ার আমিন স্বজনের ওপর অতর্কিত হামলা করে মারাত্নক ভাবে জখম করে আহত করে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী। সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার বিকালে রাজশাহীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে মোঃ সারোয়ার আমিন স্বজনের সহপাঠী, রক্ত বন্ধন সংগঠনের সদস্যবৃন্দ সহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারীগণ সারোয়ার আমিন স্বজনের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানায়।
গত মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক ১১ টায় নিজ বাসার সামনে সারোয়ার আমিন স্বজনের ওপর দেশিয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। জখম গুলো গুরুতর হবার কারনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হয়। প্রায় তিনঘন্টা অপারেশন করার পর স্বজনকে পোস্ট অপারেটিভ রুমে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়। হামলার ঘটনার বিষয়ে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। স্বজনের বড় ভাই ইমতিয়াজ জামিল দীপন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহারে ও মানববন্ধনে দীপন বলেন “জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শহিদুল ইসলাম শহিদ এর হুকুমে সন্ত্রাসীরা গত কয়েক দিন থেকে আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছিলো। হুমকির কারনে আমরা গত শনিবার রাজপাড়া থানায় একটি জিডি করেছিলাম। জিডি করার পরও পুলিশ কোন উদ্যগ নেয়নি। কোন উদ্যগ নিলে আজ আমার ভাইকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে হতো না। মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ কারী এলাকাবাসীরা এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত মোঃ শহিদুল ইসলাম ২,শহিদুল ইসলামের ছেলে মোঃ আসিফ ৩, মোঃ নাসির ৪, মোঃ রবিন ৫, মোঃ হানিফকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানান। তবে বুধবার মধ্যেরাতে মামলার ৬ নং আসামী মোঃ টনিকে রাজপাড়া থানা পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করে। মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ কারীরা আরএমপি কমিশনার ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পুনঃনির্বাচিত মেয়র এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে অনুরোধ করেন মোঃ সারোয়ার আমিন স্বজনের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে শান্তির শহর রাজশাহীতে শান্তি স্থাপন করতে।
Leave a Reply