রাজশাহীতে প্লট বিক্রির নামে মশিউর রহমান ডলার নামে এক প্রবাসীর কাছে থেকে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে হড়গ্রাম বাজার এলাকার হযরত আলী বাবুর (৫৮) বিরুদ্ধে। ইতি পূর্বে অনেকের সাথেই করেছেন প্রতারনা সহজ সরল লোকজনের বিশ্বাস স্থাপন করে কৌশলে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ২৭ জুলাই প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রবাসীর কাছে থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক হযরত আলী বাবুর বিরুদ্ধে ৪০৬/৪২০ ও ১৩৮ ধারায় জেলা রাজশাহী বিজ্ঞ রাজপাড়া আমলী আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজপাড়া থানার বিলশিমলা এলাকার বাসিন্দা মশিউর রহমান ডলার দীর্ঘদিন থেকে সৌদি আরবে থাকেন। হযরত আলী বাবু সরলতার সুযোগে সৌদি প্রবাসী মশিউর রহমানকে চান্দুরিয়া কুমরপুর রানীনগর মৌজায় ১.৩২০০ একর জমি দেখিয়ে হাতিয়ে নেন ৬ লাখ টাকা। প্রতারক হযরত আলী প্রবাসী ডলারকে প্লটের ব্যবসায় অধিক মুনাফা ও বিভিন্ন সুবিধার প্রলোভন দিয়ে গত বছরের ৩১ জুন নগদ ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং জেলা রাজশাহী নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ৩০০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করে দেন।
সেই অঙ্গীকারনামায় গত জানুয়ারি ২০২৩ সালে লভ্যাংশ সহ মোট ৬ লাখ টাকা পরিশোধ করার কথা উল্লেখ থাকলেও সেই টাকা না দিয়ে প্রবাসীর সাথে প্রতারণা ও অর্থ আত্নসাত করে প্রতারক হযরত। এছাড়াও গোপনে ওই প্লট বিক্রির পরেও প্রতারক হযরত আলী প্রবাসীর বিনিয়োগকৃত কোনো টাকা প্রদান করেন নাই এবং প্লট লিখে দেই নাই। ৬ জন অংশিদারিত্বের মোট ৩৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তারা। গত ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে জমিটি বিক্রি হয়ে যায় এবং ৫ জন অংশীদার তাদের নিজ নিজ প্লট বিক্রির টাকা বিনিয়োগের ৬ লাখ টাকা ও লাভের ৩ লাখ টাকা করে মোট ৯ লাখ সোমান ভাগে ভাগ করে নেই। কিন্তুু প্রবাসী মশিউর রহমানের টাকা মোট ৯ লাখ টাকা আত্নসাত করে নিজের কাছে রেখেদেন প্রতারক হযরত আলী বাবু। এবং ২০২৩ সালে আগষ্ট মাসে প্রবাসী ডলার ছুটিতে দেশে এসে জানতে পারে প্রতারক বাবু তার বিনিয়োগকৃত ৬ লাখ টাকা ও লাভের ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে দাদন ব্যবসা করছে। প্রবাসীর আত্নসাতকৃত মোট ৯ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা করলেও প্রবাসী ডলারকে টাকা ফেরত দিচ্ছে না প্রতারক।
এ ভাবে প্রতারক বাবু এর আগেও বিভিন্ন মানুষের কাছে থেকে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রতারক বাবুর বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওয়ার্ড কাউন্সিলর, থানা ও র্যাব অফিসেও অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি প্রবাসী মশিউর রহমান। পরে নিরুপায় হয়ে ঐ প্রবাসী দারস্থ হয়েছেন আদালতে।
তিনি বলেন, আমি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা। জিবিকার তাগিদে বছরের পর বছর স্ত্রী সন্তান বাবা মা ছেড়ে পড়ে আছি প্রবাসে। আমার কষ্টার্জিত সঞ্চয়ের সমস্ত টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ করে পড়েছি বিপাকে। আমি ন্যায় বিচার ও আমার টাকা ফেরত চাই।
এ ব্যাপারে জানতে হযরত আলী বাবুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply