বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত অ্যান জেরাড ফন লিউওয়েন ও থাইল্যান্ডের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিটমর গতকাল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের নিকট পরিচয়পত্র পেশ করেন।
নতুন দূতগণ বঙ্গভবনে এসে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশে স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশে সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা ও ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার উল্লেখ করে এ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রয়াস চালানোর জন্য নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। এ লক্ষ্যে দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে সফর বিনিময়ের উপর জোর দেন তিনি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়। করোনাকালে বিভিন্ন সহযোগিতার জন্য থাই সরকারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে সফর বিনিময়ের উপর জোর দেন।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, সিরামিকস, ওষুধসহ আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে উল্লেখ করে মো. আবদুল হামিদ বলেন, থাইল্যান্ড এসব পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানি করলে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যে ভারসাম্য আসবে। বাংলাদেশে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের জন্য থাই বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগণ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবেন বলে রাষ্ট্রপতিকে জানান। তারা দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো: জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply