সম্প্রতি শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে “ছন্দ ছড়ায় রাসেল সোনা” বই বিক্রয়ে চার লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের বিষয় টি খবরের শিরোনাম হওয়ার পর টনক নড়েছে প্রশাসনের।
শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা সাংবাদিক মহলের একটি পক্ষকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে প্রাথমিক শিক্ষক মহল থেকে শুনা যাচ্ছে।
শ্যামনগর উপজেলার ১৯১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে “ছন্দ ছড়ায় রাসেল সোনা”বই ৬ কপি করে দেওয়া হয়েছে,প্রতিটি ১০০/১৫০ টাকা মূল্যের বইয়ের দাম নেওয়া হয়েছে ৫০০ টাকা।
শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহিনুল ইসলাম অভিযোগের দায় এড়াতে উপর মহলের নির্দেশের দিকে ইঙ্গিত করেন। শিক্ষা অফিসারের দেওয়া বক্তব্যের সূত্র ধরে অনুসন্ধান করে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। “ছন্দ ছড়ায় রাসেল সোনা” বইটি শুধু শ্যামনগর উপজেলায় নয়, সাতক্ষীরা জেলার সাতটি উপজেলায় ১০৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬কপি করে বই জোর পূর্ব গ্রহণ করতে বাধ্য করে ৩০ লক্ষ টাকারও বেশি বাণিজ্য করেছেন কতৃপক্ষ বলে জানা গেছে। নির্ভরশীল সূত্র থেকে জানতে পারি জেলায় বসে এ কল কাঠি নাড়িয়েছেন সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হেনা মোস্তফা কামাল ।
তিনি দির্ঘদিন একই জেলায় থাকায় প্রতিটি উপজেলার কিছু শিক্ষক নেতা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের নিজের (অতি আস্থাভাজন) বানিয়ে কাছে টেনে বই বিক্রির এমন দূর্ণীতি করে যাচ্ছেন বলে বেরিয়ে এসেছে।এতে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে রীতিমতো প্রভাব পড়ছে,ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষা ব্যাবস্থা।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষকের বক্তব্যে উঠে এসেছে শ্যামনগর উপজেলায় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জহুরুল ইসলাম সহ উপজেলার গুটি কয়েক প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা। এবিষয়ে জানতে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার জহুরুল ইসলামের কাছে জানতে তার অফিসে গেলে পাওয়া যায় নি মুঠোফোন একাধিক যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও রিসিভ করেননি।
এই সব ভুল পথে চলা অফিসার এবং শিক্ষকদের নিয়ে জেলার নানাবিধ অপরাধের বটবৃক্ষ রুপে বসে আছেন জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার।
তার কারণে জেলা প্রাথমিক শিক্ষার সার্বিক মান নেমে যাচ্ছে বলে মনে করছেন জেলার শিক্ষক নেতাদের একটি অংশ।
আবার তিনি জেলায় বসে তার প্রতিনিধি হিসেবে যে সকল উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকগণকে বিভিন্ন ধ্বংসাত্বক নির্দেশনা প্রদান করছেন সেগুলো বাস্তবায়ন করার কারণে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার ক্ষুব্ধ এবং সার্বিকভাবে জেলার প্রাথমিক শিক্ষার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে যা কোনোভাবেই কাম্য নয় । আজকের “ছন্দ ছড়ায় রাসেল সোনা” বই বিক্রয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা বানিজ্য একটি উদাহরণ মাত্র।এসব বিষয় নিয়ে সাতক্ষীরা সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হেনা মোস্তফা কামালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র কিছু জানিনা এবং আমার বিষয়ে অভিযোগ করার কোন সুযোগ নেই
Leave a Reply