৮ লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে খাদ্য সহায়তা দিতে বাংলাদেশকে ৩ লাখ মার্কিন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মাধ্যমে দেশটি এ সহায়তা দেবে।
বুধবার (৪ নভেম্বর) ডব্লিউএফপির ঢাকা কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩৪টি ক্যাম্পের প্রতিটিতেই শতভাগ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ডব্লিউএফপি থেকে সহায়তা দেওয়া হয়, যারা তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। এর পাশাপাশি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে পুষ্টি সহায়তা, ইঞ্জিনিয়ারিং সহায়তা, স্কুল ফিডিং সহায়তা ও আত্ম-নির্ভরশীলতা বা জীবিকা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রেগান বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, যারা পুরোপুরিভাবে বাহ্যিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, তাদের সহায়তা করতে আমাদের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দাতাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
২০১৮ সালে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ডব্লিউএফপিকে দেওয়া ৫ লাখ মার্কিন ডলার অনুদানের পর নতুন করে আবারও এ অনুদান দেওয়া হলো।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায়, বিশেষত ডব্লিউএফপির মাধ্যমে কোরিয়া সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছে।
তিনি বলেন, কোরিয়া সরকার আশা করে, এই অনুদানের ফলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি তাদেরকে আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীও উপকৃত হবে।
২০১৩ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসবিষয়ক কর্মসূচিতে বাংলাদেশে ডব্লিউএফপিকে সহায়তা দিয়ে আসছে। কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কইকা) মাধ্যমে কোরিয়ার বহুবার্ষিক সহায়তায় ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সিরাজগঞ্জে গ্রামাঞ্চলের জনগোষ্ঠী, যাদের জীবন ও জীবিকা চরম দারিদ্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সহায়তা দিয়েছে।
২০১৮ সাল থেকে, বাংলাদেশে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪৬ লাখ মার্কিন ডলারের অনুদান, যা দিয়ে কুড়িগ্রাম জেলায় একটি চার বছর মেয়াদী দুর্যোগ সহনশীলতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আর এ প্রকল্পটির মাধ্যমে এই বছরে হওয়া স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ঝুঁকির সম্মুখীন পরিবারগুলো অত্যন্ত কার্যকরভাবে উপকৃত হচ্ছে।
Leave a Reply