লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাতে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রভাত ফেরি শেষে সংর্ঘষের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার মামলায় ৪৭জন বিএনপি নেতাকর্মী উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১০দশ মার্চ) দুপুরে তারা উপস্থিত হয়ে এই জামিন আবেদন করেন।
রায়পুর উপজেলা বিএনপি নেতা ও দলীয় আইনজীবী আনোয়ার হোসেন মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ২৮ নম্বর আদালতের বিচারক মোস্তফা জামান ইসলাম ও মো. ইলিয়াসের বেঞ্চ ৪৭জন নেতাকর্মীর ৬ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন। এছাড়া লক্ষ্মীপুর আদালত থেকে ৩তিন নেতা জামিনে রয়েছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। আদালতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন মৃধা জানিয়েছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়। এরপর তারা মামলা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করেছে। ওই মামলায় ৪৭জন নেতাকর্মী উচ্চ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয়। থানা পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে আসামিরা মিছিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উশৃঙ্খল স্লোগান দেয়। এই সময় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিল। মিছিল থেকে তারা হামলার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের খুঁজতে থাকে। মামলার বাদী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. জুমান এখন যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয়ে উপজেলার তাজমহল সিনেমা হল এলাকার একটি দোকানে ঢুকে জুমান লুকানোর চেষ্টা করে। সেখান থেকে যুবদল নেতা আলমাসসহ আসামিদের কয়েকজন তাকে টেনে বের করে আনে। আসামিরা তাকে বেদম পেটায়। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পিঠে আঘাত করে। এসময় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এছাড়া আরো কয়েক নেতাকর্মী আহত হয়।
এদিকে ঘটনার দিন রাতেই জুমান বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম আলমাস, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সফিক ভূঁইয়াসহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। রাতেই উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ইব্রাহিম খলিল ও সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে উপজেলার বামনী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক শান্ত বাদী হয়ে ১ মার্চ জেলা আদালতে যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম বাঙ্গালীসহ আওয়ামী লীগের ৩৮ নেতার্মীর নাম উল্লেখ ও অচেনা আরো ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। আদালত বিষয়টি মামলা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply