লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলার জমি রেজিষ্ট্রি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ৩তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
প্রতারণা ও দিনমুজুর পরিবারের বসত বাড়ী বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ প্রতারক বাহারসহ ৩জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার। তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের তোফায়েল আহম্মদের ছেলে মোঃ বাহার।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বাহার নামীয় এক প্রতারক ২০১৬ইং সালের ১৯ ফ্রেব্রুয়ারী লক্ষ্মীপুর চরমনসায় তিন দিনমজুর পরিবারের কাছে ৬০শতাংশ জমি ৭সাত লক্ষ টাকা উচিত মূল্য নির্ধারণ করে ৬ছয় লক্ষ টাকা নগদ গ্রহণ করে ওই পরিবারগুলোকে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়। নগদ ৬ছয় লক্ষ টাকা নিয়ে জমির গ্রহিতাদের বরাবর একশত পঞ্চাশ টাকার নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে বায়না চুক্তি করে দেয় প্রতারক বাহার। চুক্তির শর্ত মোতাবেক চুক্তির পরবর্বতী ছয় মাসের মধ্যে ক্রেতাগণের নিকট হতে অবশিস্ট ১এক লক্ষ টাকা গ্রহণ করে জমি রেজিষ্ট্রি দেওয়ার কথা থাকলেও ক্রেতাগণ টাকা নিয়ে বহুবার জমি রেজিস্ট্রি করতে বাহারের কাছে গেলেও তিনি রেজিষ্ট্র না দিয়ে তালবাহনা করে। চলতি মাসের ২দুই ফ্রেব্রুয়ারী তারিখে ক্রেতারা তার কাছে গেলে তিনি জমি রেজিস্ট্রি দিবেনা এবং ক্রেতাদের আক্রমণসহ বুলডোজার দিয়ে তাদের ঘর-বাড়ী গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় বাহার ও তার স্ত্রী-ছেলে। এই ঘটনায় নজির আহমেদ বাদী হয়ে ১৪/০২/২০২২ইং তারিখে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ তিনজনকে আসামী করে সি. আর মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তাধীন আছে। মামলার আসামীরা হলেন, বাহার, তার স্ত্রী সাহেদা ও ছেলে সাহেদ। জমির গ্রহিতারা হলেন, জেলা সদরের ১৭নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের মৃত সহিদ আহম্মদের ছেলে নজির আহাম্মদ, মৃত মোস্তফার স্ত্রী সাজিয়া বেগম ও সৈয়দ আহাম্মদের ছেলে আবদুল হাসিম। তারা তিনজনে ২০বিশ শতাংশ করে ৬০ শতাংশ জমিন বায়না চুক্তিমূলে আসামী বাহারের কাছ থেকে খরিদ করেন। মামলার বাদীসহ ভুক্তভোগীরা জানান, আমাদের তিন পরিবারের বাড়ী নদীতে ভেঙে যায়। বসবাসের জন্য আমরা ২০১৬ইং সালে বাহারের কাছ থেকে ৬০শতাংশ জমি খরিদ করি। জমিটি ক্রয়ের সময় জলা (নাল) ছিল। আমরা একত্রে মাটি ভরাট করে ঘর নির্মাণ করে পুকুর খনন করে ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করে বসবাস করে আসছি। এই ছাড়া আমারা প্রত্যেক পরিবার আলাদাভাবে বিদ্যুতের মিটার আমাদের নামে স্থাপন করি। প্রতারক বাহার আমাদের থেকে ৬ছয় লক্ষ টাকা নিয়ে জমির রেজিষ্ট্রি না দিয়ে বুলডোজার দিয়ে আমাদের বাড়ী ঘর তুলিয়া দিবে। আমাদের আক্রমণ করবে হুমকি দিচ্ছে। আমরা জমির রেজিস্ট্রি এবং তার প্রতারণার বিচার চাই। সুজামিয়ার পুত্র হোসেন আহম্মদ জানান, জমি বিক্রির সময় আমি ছিলাম বাহার বায়না চুক্তির শর্ত লংঘণ করেছে। সে ক্রেতাদেরকে জমির দখল বুঝে দিয়েছে কিন্তু রেজিস্ট্রি দিতে বহুদিন থেকে তালবাহনা করে আসছে।
ফজলের রহমানের ছেলে আবদুল লতিফ জানান, জমি রেজিস্টি না দেওয়ায় এই নিয়ে বহু স্থানীয় শালিশ বৈঠক বসছে। বাহার শালিশে জমি রেজিস্ট্রি দিতে স্বীকার করে। পরবর্তীতে ক্রেতাদের সাথে ঘুরাঘুরি ও কালক্ষেপন করে।
এই বিষয়ে বাহারের বক্তব্য জানার জন্য তার কাছে গেলেও তাকে খুজে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply