রাস্তাগুলোতে স্বরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নিন্মমানের ‘খ’ ও ইট দিয়ে তৈরি করছেন ঠিকাদাররা। প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে দেদারচ্ছে কাজ করছেন। বিষয়টি নিয়ে একাধীকবার প্রকৌশলীকে জানালে কোন তয়াক্কা না করে রাস্তা নির্মানে সফল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
তথ্যনুসন্ধানে জানাগেছে যে, উপজেলার কয়েকটি রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলেও বছর না যেতেই বেহাল দ্বশা হয়ে পড়েছে রাস্তাগুলো। নিন্মমানের ‘খ’ ও ইট ব্যবহারে রাস্তার এমন অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সচেতন মহল। গড়িমশি বেড কেটে রুলিং না করেই বালু ভরাট করা হয়ে থাকে। আলাদা আলাদা ভাবে ‘খ’ এবং বালু না দিয়ে একসাথে মিশ্রন করে বালুর পরিমান বেশি দেওযার ফলে রাস্তাগুলে বসে গিয়ে থাকে। ভাঙ্গনের উপর নির্ভর করে প্লা-সাইটিং না দেওয়ার ফলে কয়েকটি নতুন রাস্তায় ভাঙ্গনসৃষ্টি দেখা গেছে। উপজেলা সড়কের হরিনগর থেকে ভেটখালী বাজার, নূরনগর থেকে পরানপুর বাজার, গোডাউন মোড় থেকে নূরনগর বাজার সহ কয়েকটি নতুন রাস্তা এখন বেহাল দ্বশা দেখা দিয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলার এলজিইডি অফিসের দেওয়া তথ্যমতে ১২ টি ইউনিয়নে এলজিইডির ১৯টি প্রকল্পের ৩২ টি রাস্তার কাজ চলমান আছে। ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নে ৬টি রাস্তা, রমজাননগর ১টি, আটুলিয়ায় ৩টি, মুন্সীগঞ্জ ২টি, কৈখালী ৫টি, নুরনগর ২টি, বুড়িগোয়ালিনি ৪টি, শ্যামনগর সদর ৪টি, কাশিমাড়ী ২টি, গাবুরা ১টি, পদ্মপুকুর ১টি, ভুরুলিয়ায় ১টি।৩২টি রাস্তার ৪৮.১৫ কি:মি: কাজের বাজেটের পরিমান ৫৮ কোটি ৮৩ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা বরাদ্দ।ঠিকাদার আব্দুর রাজ্জাক ২০১৮ সালে কৈখালী এস আর মাধ্যমিক স্কুল মোড় হতে কালিন্দা নদীর মোড় পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। যার ব্যায় ধরা হয়েছিল ২ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা।কৈখালী ইউনিয়নে এলজিডির আওয়াতাধীন ৫ টি রাস্তায় মোট ১১ কিলোমিটার নির্মাণ কাজ চলমান। ১টি রাস্তা ছাড়া সব গুলো রাস্তা সময় মত কাজ শেষ করতে পারিনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো
মোল্ল্যা ট্রেডার্সের মালিক ঠিকাদার মোল্ল্যা নুরুল হক ২০১৯ সালে বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পরিষদের সামনে থেকে নিলডুমুর ভায়া পোড়াকাটলার ২ কি: মি: রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। যার ব্যায় ধরা ২ কোটি ৬ লক্ষ টাকা ।ঠিকাদার তুহিন বাজেটের শেষ দিকে ২০২২ সালে ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট পাইকের মোড়ে থেকে দেড় কি:মি: রাস্তা নির্মাণ শুরু করেন। যার ব্যায় ধরা হয়েছিল ১ কোটি টাকা ।
২০২২ সালের শেষে দিকে কলবাড়ি থেকে নীলডুমুর ৬ কি:মি: রাস্তা প্রস্থ্য করনে ব্যায় ধরা হয়েছিল ৩ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন “গ্রাম হবে শহর” এই লক্ষ্যে কোটি কোটি টাকা উন্নয়নে প্রকল্প বরাদ্দ দিলেও প্রকৌশলীকে বাটোয়ারা দিয়ে ঠিকাদাররা পকেটে ভরছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, ইটের মূল্যবৃদ্ধির ফলে তারা ভালো মানের ইট দিয়ে কাজ করতে পারছে না। তার জন্য প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করে এই কাজ সম্পন্ন করতে হচ্ছে।শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি মোবাইল কেটে দেন এবং ম্যাসেঞ্জারে ফোন দেন। তার কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে বিভিন্ন ধামকি দেন।
Leave a Reply