শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের রমজাননগর গ্রামের নসিরউদ্দীন (সান্তো) গাজীর ছেলে আল-আমীন সাথে মরাগাং গ্রামের নুরইসলামের মেয়ে সালামা বেগম (২৪) সাথে গত ২০১৮ সালে বিয়ে হয় ৷ বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি ১টি মেয়ে সন্তান হয় যার বয়স এখন ৩ বছর ৷ আল-আমীন কর্মহীন, উৎসৃঙ্খল এবং মাদকাসক্ত হওয়ায় নানা সময় সালমাকে নির্যাতন করত ৷ প্রতিবেশিরা নির্যাতনে বাঁধা প্রদান করলে তাদেরকেও হুমকি ধামকি দিতো ৷ স্বরজমিনে গিয়ে এলাকা সূত্রে জানাগেছে যে, গতকাল ১০ আগষ্ট ২০২২ তারিখ দুপুর ২ টার সময় তরকারি রান্নাকে কেন্দ্র করে আল-আমীন সালমার সাথে গোলমাল করে এবং ব্যাপক মারধর করে।পরে সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সালমা ৷ স্থানীয়দের সহযোগিতায় শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে যায়।চিকিৎসারত অবস্থায় সালমা মারা যায় ৷ এ খবরে স্বামী আল-আমীন ও শাশুড়ি আসমা বেগম তড়িঘড়ি করে ঘরের জিনিসপত্র, হাস, মুরগী ও ভিটাবাড়ি বিক্রি করে পালিয়ে যায়।আল-আমীনের ছোট চাচি রিজিয়া বেগম বলেন, ইদুর মারার জন্য আল-আমীনের মা আসমা বেগম গত ২ বছর আগে বাজার থেকে দানাদার বিষ নিয়ে ব্যবহার করে পরে বাড়িতে রাখে তাই খেয়ে অসুস্থ হলে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে মারা যায়৷ পরে হাসপাতাল থেকে ফিরে আল-আমীন ও তার মা ঘরের জিনিসপত্র, হাস, মুরগী ও ভিটাবাড়ি বিক্রি করে কোথায় চলে গেছে জানি না ৷
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ৷ এবং ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরায় প্রেরণ করা হয়েছে
Leave a Reply