গাজীপুরে সংবাদ প্রকাশের জেরে শ্রীপুরে জৈনা বাজারে সাংবাদিক রাকিবুল হাসান আহাদের উপর হামলা চালিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী সুমন ও তার লোকজন। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে অস্ত্র দেখিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
শুক্রবার রাত ৯.৪৫ মিনিটে শ্রীপুর উপজেলা জৈনা বাজার সিএনজি স্টেশনে পৌঁছা মাত্রই প্রকাশ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক রাকিবুল হাসান আহাদকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। রাকিবুল হাসান আহাদ দৈনিক দুর্জয় বাংলা ও সাপ্তাহিক আল-মিনার পত্রিকার গাজীপুর জেলা ভ্রামমাণ প্রতিনিধি।
হামলার শিকার সাংবাদিক রাকিবুল হাসান আহাদ বলেন, ঘটনার দিন ০৪/০৬/২০২১ইং ত্রিমোহিনী আমার শশুর বাড়ী হইতে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে জৈনা বাজার আসার পথে সিএনজি হইতে জৈনা বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে নামা মাত্রই বিবাদী সানোয়ার, সোহাগ, সুমন, মোজাম্মেল ও মাসুম এসময় হঠাৎ করে রাস্তার পূর্ব পাশে নিয়ে মাদকব্যবসায়ী সুমন সহ আরও অজ্ঞাত ৪/৫ জন বলে, আসামি কেনো ডিবির ওসিকে ফোন দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছোস বলে মাদক ব্যবসায়ীর ও তার লোকজন নিয়ে আমার উপর হামলা করে। ঘটনা দেখে পথচারী ও স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে অস্ত্র উচিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। সোহাগ নামের মাদক ব্যবসায়ী আমার পকেটে থাকা ১ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার উপর হামলায় মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার স্ত্রী সহ আরও বেশ কয়েকজন অংশ নেয়।
রাকিবুল হাসান আহাদ অভিযোগ করেন, জৈনা বাজার এলাকায় সুমন মিয়ার ছেলে পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ও ছিনতাইসহ তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন পরিচয়ের আড়ালে সুমন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা নিয়ে ইতোপূর্বে দৈনিক দুর্জয় বাংলা সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হয়। এসব সংবাদ ফেসবুক আইডিতেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলো মাদক ব্যবসায়ী সুমন ও তার লোকজন।
সর্বশেষ গত কিছুদিন পূর্বে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুমনের ছেলেকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। এরপর পরেই পরিকল্পিতভাবে সানোয়ারের নেতৃত্বে এই হামলা চালায়। হামলার সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মির চেষ্টা করলেও স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় রক্ষা পান তিনি। এর আগেও সংবাদ প্রকাশের জেরে তাকে কয়েকবার মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলো সানোয়ার, সুমনরা। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইমাম হোসেন বলেন, ‘সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেছেন রাকিবুল হাসান আহাদ। এই হামলায় জড়িত সানোয়ার, সোহাগ ও তার সহযোগী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
Leave a Reply