দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ব্যবসায়ী তারেক আজিজ –
কোরবানির ঈদ মুসলিম সমাজের ত্যাগের উৎসব। ভোগে নয়, ত্যাগেই শান্তি এমনই শিক্ষা পাওয়া যায় এই ঈদ থেকে। কোরবানি শব্দটি আরবি কোরবানুন অথবা কেরবানুন শব্দ থেকে আগত, যার মানে নৈকট্য বা সান্নিধ্য লাভ করা।
প্রায় চার হাজার বছর আগে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় হযরত ইব্রাহিম (আ.) তার ছেলে ইসমাইল(আ.)কে কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার মহিমায় ইসমাইলের (আ.) পরিবর্তে একটি ভেড়া বা দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়।
সেই ত্যাগের মহিমায় মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহর অনুগ্রহ প্রাপ্তির আশায় পশু কোরবানি করে থাকে। তবে ঈদের পর ও ৩ দিন অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজ্ব পশু কোরবানি করার ধর্মীয় বিধান রয়েছে। কোরবানি পশু বর্জ্য নিষ্কাশনে আমাদের সকলের যা কর্তব্য মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ,পবিত্র, ঈদ-উল-আযহার ,পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি বয়ে আনতে পারে। রোগ জীবাণু ছড়িয়ে ম্লান করে দিতে পারে ঈদের আনন্দ। একটু সচেতনতাই পারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা অপরের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। যে পশুর হাড়সহ শক্ত বর্জ্যগুলো ও পলিথিনের মধ্যে নেয়া ভালো। পশুর রক্ত পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করা ভালো । নাড়ি-ভুঁড়ি বা এ জাতীয় কোনো ভাবেই পয়ঃনিষ্কাশন নালায় ফেলা যাবে না। মানুষের সচেতনতার পাশাপাশি সকলের উদ্যোগ নিলে রোগজীবাণু, দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়াতে পারবে না। স্বনির্ভর।
তিনি আরো বলেন, মুসলমানদের জীবনে শান্তি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে বছরে আসে দুইটি ঈদ । ঈদের উৎসব মুসলমানদের নিবিড় ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বদ্ধ করে। দেশের বিদ্যমান ক্রান্তি – লগ্নে সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঈদের আনন্দ নিজেদের ভাগ করে নিতে হবে ধনি গরীব নির্বিশেষে গরীব দুঃখীর পাশে থেকে আপনার সবাই ঈদুল আযহার উদযাবন করবেন বলে আমি আসা করি।
আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন ঘনিষ্ঠজন,নিকট জন সহ সবাই ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেব।কোনো অসহায় ও দুস্থ মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সেজন্য যারা সচ্ছল ব্যক্তি তারা যেন তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন,যাতে নিরন্ন মানুষরাও ঈদের আনন্দের অংশীদার হতে পারে।
দুঃখ গুলো ভুলে গিয়ে ঈদের আনন্দে মেঠে উঠুক সবার মন, সবাইকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দ।
Leave a Reply