ক্যাসিনোকাণ্ডের প্রধান কুশিলব সম্রাটের বিপুল সম্পদের খোঁজ মিলেছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে। শুধু সিঙ্গাপুরেই তার শত কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেয়েছে সিআইডি। বাকি সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে ওই চার দেশে। আর সেসব চিঠির উত্তর পেলে চলতি মাসে হবে অর্থপাচারের মামলা।
গত বছরের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ছিল ক্যাসিনো-বিরোধী অভিযান। আর এর শুরু থেকেই আলোচনায় আসেন তখনকার যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট। অভিযানের সময় আত্মগোপনে গেলেও, ২০ দিনের মাথায় কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। তার অফিসে অভিযানের পর অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করে র্যাব।
এক মাসে শেষ হয় এর তদন্ত, দুই মামলায় অভিযোগপত্রও জমা দেয়া হয়। মেলে সম্রাটের বিপুল অবৈধ সম্পদের খোঁজ। তবে গ্রেপ্তারের ১১ মাসেও সম্রাটের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করা যায়নি।
তবে সিআইডির দাবি, সম্রাটের বিরুদ্ধে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান করা হয়েছে। দেশের ২২টি সংস্থার পাশপাশি ৪টি দেশেও তার সম্পদের খোঁজ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত অনুসন্ধানের দেশে কোন অবৈধ সম্পদের খোঁজ না মিললেও বিদেশে আছে বিপুল সম্পদ। চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে অনুসন্ধান।
শুধু মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় বিলম্ব নয়, প্রায় ১০ মাস ধরে হাসপাতালে শুয়ে-বসে দিন কাটাচ্ছেন সম্রাট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্থানান্তরের প্রস্তাব দিলেও অজানা কারণে তাকে হাসপাতালেই রেখেছে কারা সদরদপ্তর। অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, ক্যাসিনোকাণ্ডে মূল কুশিলবেরা আইনের ফাঁক-ফোকর গলে পাড় পেয়ে গেলে, প্রশ্ন উঠবে আলোচিত সেই অভিযান নিয়েই।
এছাড়া শুদ্ধি অভিযান আবারও শুরুর পাশাপাশি, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মামলার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করে বিচারের মুখোমুখি করার তাগিদও দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা
Leave a Reply