সরকারি পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। এই পাটকলগুলো অব্যাহত লোকসান দিচ্ছে। প্রতি বছরই এই পাটকলগুলোকে সরকারের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তাই সরকারি পাটকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গোল্ডেন হ্যান্ডক্যাশ দিয়ে পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার(২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে প্রতিষ্ঠিত পাটকলগুলো ব্যবসা করছে। তাই গত বছর কৃষকরা পাটের দাম মন প্রতি ২ হাজার টাকা পেলেও এ বছর সাড়ে ৩ হাজার টাকা পেয়েছেন। এতে কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, গার্মেন্ট ব্যবসার সাথে আরো অনেক ছোট-বড় শিল্প জড়িত। এই সেক্টর ক্ষতির মধ্যে পড়লে ওই সব শিল্পও ক্ষতির মধ্যে পড়ে। তাই করোনার দ্বিতীয় ধাপেও যদি গার্মেন্ট সেক্টরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে সরকার পুনরায় তাদের সহযোগিতা করবে। কারণ এই সেক্টরে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করে। তাদের জীবন-জীবিকা এই শিল্পের উপর নির্ভরশীল। তাই এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকার যা যা করণীয় তাই করবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, করোনাকালীন গার্মেন্ট সেক্টরে ব্যবসায়ীদের অনেক অর্ডার বাতিল হয়েছে। এতে গার্মেন্ট মালিকরা ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে। সরকারি প্রণোদনা পেয়ে গার্মেন্ট সেক্টর ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন এই সেক্টরের পুরোদমে কাজ চলছে।
এর আগে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
পরে মন্ত্রী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দিলীপ কুমার সাহা (অতিরিক্ত সচিব), বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, (এনডিসি), গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, গোপালগঞ্জ গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস, গণপূর্ত ই/এম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখর চন্দ্র বিশ্বাস প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply