বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সারাদেশে দ্বিতীয় দফার টানা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি চলছে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশে ১২ জায়গায় আগুন লাগানো হয়েছে। তার মধ্যে ৯টি বাস, একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
রোববার সকালে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রোববার সকাল ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অবরোধের আগের রাতে ১২টি স্থান থেকে আগুনের সংবাদ পাওয়া গেছে। ঢাকা শহরে সাতটি, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর দুটি, সিরাজগঞ্জে একটি, বরিশালের চরফ্যাশনে একটি, রংপুরের পীরগঞ্জে একটি ঘটনা ঘটে। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাদলপুরে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে আগুন এবং একটি জায়গায় গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ারে আগুন দেয়া হয়েছে।
এদিন, ভোর থেকে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে। অবরোধের সমর্থনে সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা।
এর আগে প্রথম দফায় তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির পালন করেছে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি-হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং চলমান এক দফা দাবিতে ফের টানা দ্বিতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী।
আজ দেশব্যাপী শুরু হওয়া দু’দিনের অবরোধে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ হয়। সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সংঘাতে পণ্ড হওয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ উল্লেখযোগ্য নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
Leave a Reply