সরকার নির্ধারিত সময়েই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই বিদ্যুতের তার ভূগর্ভস্থ করা হবে। গুণগত মানসম্পন্ন ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে গ্রাহকদের উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। আর অনুমোদিত লোডের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পরিহার করতে হবে। এক অনলাইন আলোচনায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, পরিবারের বাজেট অনুযায়ী খুব সহজে মাসিক বিল পরিশোধের মাধ্যমে স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার ব্যবহারকারী বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা পরিহার করতে প্রয়োজনে বিদ্যুতের অফিসগুলোর সহায়তা নেয়া যেতে পারে।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উদ্যোগে নড়াইলে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এলাকায় স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী কথা এসব বলেন।

জানা যায়, নড়াইলে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ১৫ হাজার ৮শ’ বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ৯ হাজার ৯৯৮টি স্মার্ট প্রি-পেইড স্থাপন করা হবে। প্রি-পেমেন্ট মিটারিং পদ্ধতিতে মিটার ব্যালান্স শেষ হলেও তাৎক্ষণিকভাবে মিটার হতে ১০০ টাকা পর্যন্ত ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেয়ার ব্যবস্থা আছে। তাই বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। এছাড়া গ্রাহকরা নিট বিদ্যুৎ বিলের উপর শতকরা একভাগ হারে রিবেট সুবিধা পাবেন। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া না হওয়ার ফলে লাইন কাটার টেনশন থাকবে না। অতিরিক্ত ডিসি/আরসি ফি শতকরা ৫ ভাগ বিলম্ব মাশুল প্রযোজ্য হবে না। এমনকি গ্রাহক যেকোনো সময় তার মিটারের বিদ্যুৎ ব্যবহার ও অবশিষ্ট ব্যালেন্স দেখতে পারবেন।