নাটোরের সিংড়ায় ভ্যান চালক মিজু আহমেদ (৩৫) কে বেঁধে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগে তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য ফরজ আলী (৩৮) কে আটক করেছে সিংড়া থানা পুলিশ। এ বিষয়ে রাতেই মিজু আহমেদ এর মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে সিংড়া থানায় অভিযোগ করেছে।
রাতে ফজর আলী সরকারকে আটক করা হয়। সে ঐ গ্রামের আবুল কালামের পুত্র। অপর আসামিরা পলাতক রয়েছে।
মিজু আহমেদ অত্র ইউনিয়নের ক্ষরসতি গ্রামের মোতালেব কাজীর পুত্র।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কিশোর কুমার পাল জানান, সোমবার গভীর রাতে তাঁকে আটক করে মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের ক্ষরসতি বাজারে ইউপি সদস্য ফজর আলীর ২য় স্ত্রী রেখার দোকানে আসে তাঁরই মামাতো ভাই ভ্যান চালক মিজু। এসময় রেখার স্বামী ফজর আলী ভেতরে প্রবেশ করেই মিজুকে বেদম প্রহার করতে থাকে। এসময় তাঁকে ঘরের খুটির সাথে বেঁধে ফেলে লোহার রড দিয়ে মারপিট ও জখম করে। পরে তাঁর চিৎকারে অন্যান্যেরা এগিয়ে আসে। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
স্থানীয় সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য মনোয়ারা বেগম জানান, আমার বোন রেখা কে ইউপি সদস্য ফজর আলীর সাথে ১৭/১৮ বছর আগে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা হয়। তাঁর কোনো খরচ দেয় না। মিজু আমার মামাতো ভাই। তাঁকেও অন্যায় ভাবে মারা হয়েছে।
তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন জানান, এ খবর পাওয়া মাত্র আমি ঘটনাস্থলে যাই। ভ্যান চালককে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। ছোট বিষয় হলে আমরা স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করতে পারতাম। কিন্তু তাঁকে অন্যায় ভাবে প্রহর করা হয়েছে।
Leave a Reply