সাম্প্রতিক কালে সিলেটে আকস্মিক ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দী হয়ে খুবই মানবিক জীবনযাপন করছেন লক্ষাধিক বাসিন্দা। সিলেটের পানিবন্দী মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত নিয়ে এগিয়ে আসল বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি।
বৃহস্পতিবার ৩০ জুন সকাল ৯ ঘটিকায় হযরত শাহজালাল রহঃ এর মাজার জিয়ারত করে সিলেটে বানভাসীদের বাড়ি বাড়ি ও আশ্রয় কেন্দ্রে রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন বিএমএসএস -এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান খন্দকার আছিফুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সগির আহমেদ, মহাসচিব মো: সুমন সরদার, যুগ্ম মহাসচিব তোফায়েল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ মিয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শামসীর হারুনুর রশিদ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোহন আহমেদ, উপ-আইসিটি সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সহ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি খায়রুল আলম সুমন, সদস্য আমিরুল ইসলাম আমীর, মাওলানা তুহিনুর রহমান শাহজাহান – সহ সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ।
এ সময়ে খন্দকার আছিফুর রহমান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু দেখেছি সিলেটের বন্যার্ত মানুষের আহাজারি, নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি বলে আমরা মফস্বলের সকল সাংবাদিকবৃন্দরা নিজেদের উদ্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়নোর চেষ্টা করেছি মাত্র।
বর্তমান পরিস্থিতি কেউ নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেনা কতটুকু কষ্টে দিনপাত করছে এই পানি বন্দী মানুষেরা। তিনি বলেন, আমাদের উচিৎ দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনগুলো এই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। তাদের শুধু খাবার নয়, খাবারের পাশাপাশি বস্ত্রের ও প্রয়োজন আছে। বাড়িঘর মেরামত করার জন্য তাদেরকে অবশ্যই নগদ অর্থ সহযোগিতার প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
বিএমএসএস – এর মহা সচিব সুমন সরদার তার বক্তব্যে বানবাসী মানুষের কষ্ট দেখে দেশ ও প্রবাসের বিত্তবানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আপনারা আপনাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এই অসহায় পানিবন্দী মানুষের পাশে দাঁড়ান ও সাহায্য সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসুন। তিনি বলেন, বিএমএসসএর এর সকল নেতৃবৃন্দরা এই বন্যার্ত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে আমরা আনন্দিত। পাশাপাশি সরকারের পাশাপাশি সিলেটে যে সকল সামাজিক সংগঠন সহযোগীতা করে যাচ্ছে বন্যার্ত মানুষকে সেই সকল সেচ্ছাসেবী মানবতার ফেরিওয়ালাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য বিমএসএস এর পক্ষ থেকে ৩০শে জুন ১ হাজার পরিবারের মাঝে রান্না করা খাবার ও ১ জুলাই খাবার স্যালাইন, ঔষুধ ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়।
Leave a Reply