বড়লেখায় স্বামী পরিত্যক্তা তরুণীকে (২০) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করছিল ৪ সন্তানের জনক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ফয়েজ আহমদ (২৭)। অবশেষে ধর্ষিতার মামলায় শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ তাকে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে। ধর্ষক সিএনজি চালক ফয়েজ জুড়ী উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে। ভিকটিম তরুণীকে পুলিশ ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, স্বামী পরিত্যক্তা তরুণী উপজেলার বর্নি গ্রামে নানা বাড়ীতে বসবাস করেন। গত ৫/৬ মাস ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করছিল জুড়ী উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে সিএনজি চালক ৪ সন্তানের জনক ফয়েজ আহমদ।
গত ১১ নভেম্বর সে তরুণীটিকে বিয়ের কথা বলে সিএনজিতে তুলে গোলাপগঞ্জে খালার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে দুই রাত রেখে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গত শুক্রবার রাতে নানা বাড়িতে পৌঁছে দিতে গেলে তরুণীটি সিএনজি চালক ফয়েজের প্রতারণা ও ধর্ষণের বিষয় ফাঁস করে দেয়। এতে স্থানীয় লোকজন তাদের দু’জনকে আটক করে রাতেই থানায় নিয়ে যায়।
ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, গত শুক্রবার রাতে বর্নি এলাকার লোকজন স্বামী পরিত্যক্তা তরুণী ও ফয়েজ আহমদ নামক সিএনজি চালককে থানায় সোপর্দ করেন।
শনিবার দুপুরে তরুণী আটক সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে এবং ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
Leave a Reply